পদত্যাগ করলেন ন্যাশনাল ব্যাংকের এমডি, ডিএমডি
খেলাপি ঋণে জর্জরিত বেসরকারি খাতের ন্যাশনাল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. তৌহিদুল আলম খান ও ডিএমডি (উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক) আব্দুল মতিন পদত্যাগ করেছেন।
দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বিষয়টি নিশ্চিত করে তৌহিদুল আলম খান বলেন, 'আমি সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত কারনে পদত্যাগ করেছি।'
ন্যাশনাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু বলেন, 'বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে দেয়া অনুমোদন অনুযায়ী, এমডি তৌহিদুল আলম খানের মেয়াদ ছিল চলতি মাসের ২৪ তারিখ পর্যন্ত। যদিও এমডি গত মাসের ৭ তারিখেই পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। ডিএমডি আব্দুল মতিন গত মাসের মাঝামাঝি সময়ে পদত্যাগপত্র জামা দিয়েছেন। উভয়েই কন্টাকচুয়ালি (চুক্তির ভিত্তিতে) ছিলেন। তাদের মেয়াদ শেষ হওয়ায়, এবং নতুন করে নিয়োগ না পাওয়ায়— তাদের চলে যেতে হচ্ছে।'
আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার পরপরই ন্যাশনাল ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ নেয় শিকদার পরিবার (শিকদার গ্রুপ)। জয়নুল হক শিকদার, তার স্ত্রী, ছেলে, মেয়েরা ছিলেন ব্যাংকটির পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত।
ন্যাশনাল ব্যাংকে বেনামি ঋণ, কমিশন নিয়ে ঋণ, নিয়োগ বাণিজ্য নিয়ে অভিযোগের মধ্যে পারিবারিক দ্বন্দ্ব শুরু হলে— বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ সময়ে ব্যাংকটির নিয়ন্ত্রণ তুলে দেওয়া হয় এস আলম গ্রুপের হাতে।
তবে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার যে ১১টি ব্যাংকের পর্ষদে পরিবর্তন এনেছে, তার একটি ন্যাশনাল ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ প্রতিবেদন মতে (সেপ্টেম্বর পর্যন্ত) ব্যাংকটির মোট ঋণের প্রায় ৫৬ শতাংশ বা ২৩ হাজার ৭২২ কোটি টাকা-ই খেলাপি ঋণ।