ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি আসছে শিক্ষার্থীদের নতুন রাজনৈতিক দল
ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে শিক্ষার্থীদের নতুন রাজনৈতিক দল চলে আসবে জানিয়েছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য রিফাত রশিদ (রশিদুল ইসলাম রিফাত)।
তিনি বলেন, 'শিক্ষার্থীরা নতুন একটি রাজনৈতিক দল নিয়ে আসবে এবং সেই রাজনৈতিক দল আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। বাংলাদেশের তিনশ' আসনে তারা প্রার্থী দেবে।'
রবিবার (২৬ জানুয়ারি) বিকেলে ঢাকার সাভারের রাজফুলবাড়িয়া এলাকায় মোহাম্মদ আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
এসময় তিনি বলেন, 'তিনশ' আসনসহ বাংলাদেশে পরবর্তীতে যদি আসন বাড়ানো হয়, প্রত্যেকটি আসনে তারা [শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক দল] প্রার্থী দেবে। সেই দল জয়ী হওয়ার পরে তারা সরকার গঠনের মাধ্যমে যত ধরনের চেইঞ্জ এই গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্খা ছিল, প্রত্যেকটি বাস্তবায়ন করবে। জাতির কাছে এটি আমাদের কমিটমেন্ট।'
সভায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
রিফাত রশিদ তার বক্তব্যে আরও বলেন, 'ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে আমাদের রাজনৈতিক দল চলে আসবে, এখানে তারুণ্যের প্রাধান্য থাকবে। নেতৃত্বে তরুণরা থাকবে, তবে অবশ্যই অভিজ্ঞদের আমরা মূল্যায়ন করব। উপদেষ্টামণ্ডলী থেকে শুরু করে আরও যে বিশেষ পদগুলো আছে, যারা আমাদের সিনিয়র আছেন, তারা আমাদের পরামর্শ দেবেন। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গরাও আমাদের রাজনৈতিক দলে স্থান পাবেন।'
তিনি বলেন, 'আপনারা দেখেছেন অনেকগুলো কমিশন গঠন হয়েছে। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করাসহ যাবতীয় কার্যক্রম; আমাদের জুলাইয়ের কমিটমেন্টগুলো বাস্তবায়ন করতে গেলে আমাদের যা দরকার, তা হলো কমিশনগুলোর রিপোর্ট। এই রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে বিচারিক কাঠামোর মাধ্যমে আমরা আমাদের যেই কমিটমেন্টগুলো বাস্তবায়ন করব।'
রিফাত রশিদ বলেন, 'আওয়ামী লীগকে আমরা নির্বাচনে আসতে দেবো না, এতে আমরা বদ্ধপরিকর থাকব এবং যাবতীয় মামলাগুলো ট্রাইবুনাল এবং বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সম্পন্ন হবে।'
তিনি আরও বলেন, 'সংস্কারটা যখন হয়ে যাবে, তখন আমরা পুলিশকে প্রেশারাইজটা একদম অফিসিয়ালি, যেটাকে আমরা জিরো টলারেন্স নীতি বলি, সেটি আমরা করতে পারব।'