সীমান্তে বাংলাদেশিকে কুপিয়ে হত্যা: ভারতীয়সহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া সীমান্তে বাংলাদেশি যুবক আহাদ আলীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ভারতীয় নাগরিকসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। রোববার (২৬ জানুয়ারি) রাতে নিহতের স্ত্রী জমিরুননেছা বাদী হয়ে কুলাউড়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
এর আগে, রোববার দুপুরে উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের মুরইছড়া সীমান্তের এওলাছড়া বস্তি এলাকায় কৃষিকাজ করতে গেলে আহাদ আলীকে (৪৫) কুপিয়ে হত্যা করে ভারতীয়রা। জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম আপছার জানান, রোববার দুপুরে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে ভারতীয় কয়েকজনের সঙ্গে আহাদ আলীর কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ভারতীয় নাগরিক হায়দার আলী ও তার সহযোগীরা আন্তর্জাতিক সীমানা রেখার ৫ গজ ভেতরে ঢুকে আহাদকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে।
পরে স্থানীয়রা আহাদকে উদ্ধার করে কুলাউড়া সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হলে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
ওসি গোলাম আপছার বলেন, "হত্যার ঘটনায় ভারতীয় নাগরিক হায়দার আলীসহ সাতজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও চার থেকে পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। এজাহারভুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশিও রয়েছেন।"
সীমান্তবর্তী এলাকা শিকড়িয়া গ্রামের ইউপি সদস্য শাহীন আহমদ বলেন, "হামলাকারী ভারতীয় নাগরিক হায়দার আলীর সঙ্গে নিহত আহাদ আলীর পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে। তবে জায়গা নিয়ে কোনো সমস্যা ছিল কি না, তা জানা নেই।"
কর্মধা ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সিলভেস্টার পাঠাং বলেন, "আহাদ আলীর শ্বশুরবাড়ি ভারতে। শ্বশুরবাড়ির জমি নিয়ে বিরোধের জেরেই আহাদকে কোপানো হয় বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে।"
তিনি আরও বলেন, "বাংলাদেশের ভেতরে এ ঘটনা ঘটেছে। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে বিএসএফের কাছে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।"