জুলাই অভ্যুত্থানে রামপুরায় ভবনের কার্নিশে ঝুলন্ত যুবককে গুলি করার ঘটনায় এসআই গ্রেপ্তার
গত বছরের জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ঢাকার রামপুরায় একটি ভবনের তলা থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় আমির হোসেন নামে এক যুবককে গুলি করার ঘটনায় পুলিশের এক উপ-পরিদর্শককে (এসআই) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
দীঘিনালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকারিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, পুলিশ গতকাল (২৬ জানুয়ারি) রাতে খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় এসআই চঞ্চল চন্দ্র সরকারকে গ্রেপ্তার করেছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল তানভীর হাসান জোহা ঢাকা থেকে পুলিশের বিশেষ ইউনিটসহ গ্রেপ্তারের সময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছরের জুলাই মাসে রামপুরার মেরাদিয়া এলাকায় ঘটনার স্থলে উপস্থিত থাকার কথা স্বীকার করেন চঞ্চল। তবে তিনি গুলি করেননি বলে দাবি করেন।
দীঘিনালা থানা সূত্র জানায়, গ্রেপ্তারের পর চঞ্চলকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আমির হোসেনের গায়ে গুলি লাগলেও তিনি বেঁচে আছেন। তবে দেহে ছয়টি গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এখনও চিকিৎসাধীন আছেন।
আমিরের খালা নাসিমা বেগম দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে (টিবিএস) বলেন, "সে কিছুটা ভাগ্যবান যে গুলি তার পায়ে লেগেছ এবং কোন হাড় ভাঙেনি। তবে সে আরও তিন মাস পর কিছুটা হাটতে পারবে।
১৮ জুলাই আফতাবনগরের একটি হোটেলে কর্মরত আমির হোসেন (১৮) বিকেলে কাজ থেকে বাড়ি ফেরার সময় মেরাদিয়া বাজারের কাছে বিক্ষোভ করতে দেখেন।
রাস্তার দুই পাশে পুলিশ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের সদস্যদের দেখে তিনি আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তিনি পাশের একটি নির্মাণাধীন বিল্ডিংয়ে ছুটে যান এবং ছাদের দিকে উপরে চলে যান। পুলিশ তার পিছু ধাওয়া করে।
এরপর যা ঘটল তা পুরো জাতিকে হতবাক করেছে। ঘটনার ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, আমির মরিয়া হয়ে একটি রড আঁকড়ে ধরেছেন যখন তিনি ভবনের চতুর্থ তলার ধার থেকে ঝুলছেন। এ সময়ও পুলিশ তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে থাকে।