হলমার্ক দুর্নীতি মামলায় এস কে সুর গ্রেপ্তার
মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে হলমার্কের বিরুদ্ধে সাত বছর আগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার (এস কে) সুর চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
আজ সোমবার (২৭ জানুয়ারি) কারাগার থেকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয় তাকে।
এ সময় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের পরিদর্শক ছায়েদুর রহমান হল মার্ক দুর্নীতি মামলার আসামি হিসেবে তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য আবেদন করেন।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্র তাকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
এদিন সুরের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। গ্রেপ্তার দেখানো পর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
গত ১৪ জানুয়ারি দুদকের একটি দল রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক এ ডেপুটি গভর্নরকে গ্রেপ্তার করে দুদক।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, তুষার আহমেদ ও আসলাম উদ্দিন উভয়েই হল-মার্ক গ্রুপের কর্মচারী ছিলেন।
তুষার আহমেদের বক্তব্য অনুসারে তিনি হলমার্ক গ্রুপের জিএম (কমার্শিয়াল) হিসেবে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা বেতন পেতেন এবং বেতন রেজিস্ট্রারের রেকর্ডও তা সমর্থন করে। আসলাম উদ্দিন তুষার আহমেদের আগে থেকেই হল-মার্ক গ্রুপে চাকরি করেন।
অনুসন্ধানকালে গৃহীত তার বক্তব্য অনুসারে তিনিও ২০১১ সালে জিএম হিসেবে পদোন্নতি পাওয়ার পর হলমার্ক গ্রুপ থেকে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা মাসিক বেতন পেয়েছেন অল্প কিছুদিন। তার আগে তাদের বেতন ১০ হাজার টাকা থেকে শুরু হয়। হলমার্ক গ্রুপে চাকরিকালীন ২০১০ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত সময়ে তুষার আহমেদ ও আসলাম উদ্দিনের যৌথ নামে ঢাকা ব্যাংক, আসলাম উদ্দিনের একক নামে ঢাকা ব্যাংক ও তুষার আহমেদের একক নামে ঢাকা ব্যাংক প্লাটিনাম হিসাব পরিচালিত হয়েছে।
এ অবস্থায় আসামি তুষার আহমেদ, মোহাম্মদ আসলাম উদ্দিন, সুমন ভূঁইয়া অপরাধলব্ধ ১৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা সন্দেহজনক লেনদেনের মাধ্যমে হস্তান্তর ও স্থানান্তরপূর্বক লেয়ারিং করে অবৈধ উৎস গোপন করার অপরাধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ ধারা তৎসঙ্গে পঠিতব্য মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০০৯ এর ৪ ধারায় দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন ২০১৮ সালের ২৬ ডিসেম্বর একটি মামলা দায়ের করেন।