কমিশনের কর্মকর্তারা দুর্নীতিমুক্ত থাকলে সামগ্রিক দুর্নীতি অনেকাংশেই কমবে: দুদক চেয়ারম্যান
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন বলেছেন, কমিশনের কর্মকর্তারা যদি দুর্নীতিমুক্ত থাকেন, তবে সামগ্রিক দুর্নীতি অনেকাংশেই কমে আসবে।
তিনি বলেন, 'সমাজ থেকে দুর্নীতি একেবারে নির্মূল করা সম্ভব নয়। অতীতেও দুর্নীতি ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে। তবে ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে পারলে দুর্নীতি অনেকটাই কমানো সম্ভব।'
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) কুমিল্লায় দুর্নীতিবিরোধী গণশুনানিতে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ শুনে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
তিনি বলেন, 'গত ৫ আগস্ট পর্যন্ত কিংবা বিভিন্ন সময়ে যে-সব আন্দোলন হয়েছে বা হচ্ছে, তার পেছনের কারণ হচ্ছে, সমাজে আমরা এক ধরনের অবিচার লালন করি। প্রতিটি অবিচারের কারণ খুঁজতে গিয়ে দেখা গেছে, এর মূলে রয়েছে দুর্নীতি।'
শুনানির আগে দুদক শহরের বিভিন্ন এলাকায় বুথ স্থাপন করে অভিযোগ সংগ্রহ করে। সেখানে ১২১টি অভিযোগ জমা পড়ে। এর মধ্যে ৪০টি অভিযোগ তফসিলভুক্ত হওয়ায় শুনানির জন্য ডাকা হয়।
শুনানিতে কুমিল্লার বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উত্থাপন করেন ভুক্তভোগীরা। এসব অভিযোগ শুনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন দুদক চেয়ারম্যান।
গণশুনানিতে কুমিল্লার জোনাল সেটেলমেন্ট অফিস, বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি, সদর হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগও ওঠে।
অনুষ্ঠানে দুদকের কমিশনার (অনুসন্ধান) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাফিজ আহ্সান ফরিদ, কুমিল্লার জেলা প্রশাসক আমিরুল কায়সার ও জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ নাজির আহমেদ খানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।