কুমিল্লার কাউন্সিলর হত্যা মামলায় আরেক আসামির স্বীকারোক্তি
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ মোহাম্মদ সোহেল ও তার সহযোগী আওয়ামী লীগ কর্মী হরিপদ সাহা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন হিট স্কোয়াডে থাকা সন্ত্রাসী মোঃ নাজিম ওরফে পিচ্চি নাজিম (২৯)।
নাজিম নগরীর শুভপুর এলাকার মিজানুর রহমানের ছেলে। বুধবার সন্ধ্যায় কুমিল্লার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক শাহেন আরা আক্তারের আদালতে হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন তিনি।
জেলা ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) পরিমল দাস বলেন, "নাজিম তিনদিনের রিমান্ডে থাকাকালে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হয়। বুধবার সন্ধ্যায় নাজিমের জবানবন্দি রেকর্ড শেষে তাকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেয় আদালত। জবানবন্দিতে নাজিম বলেছেন, তিনি সরাসরি হত্যাকাণ্ডে অংশ নিয়েছেন এবং গুলি করেছেন।"
এর আগে গত সোমবার রাতে পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট ও কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের সহযোগিতায় নিজ এলাকা থেকে নাজিম ও হিট স্কোয়াডে থাকা অপর সদস্য মোঃ রিশাত ওরফে নিশাতকে (২৫) গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশের সদস্যরা। মঙ্গলবার দুপুরে এজাহারবহির্ভূত এ দু'জনকে আদালতে প্রেরণ করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত তাদের ৩ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে। মঙ্গলবার দুপুর থেকেই তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়।
গত ২২ নভেম্বর বিকেল ৪টার দিকে নগরীর পাথুরিয়াপাড়া থ্রি স্টার এন্টারপ্রাইজে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন কাউন্সিলর সোহেল ও হরিপদ সাহা। কাউন্সিলর সোহেল কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য এবং ওই ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। নিহত হরিপদ সাহা ছিলেন নগরীর ১৭নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাহাপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
জোড়া খুনের ঘটনায় গত ২৩ নভেম্বর রাতে কাউন্সিলর সোহেলের ছোট ভাই সৈয়দ মোঃ রুমন বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৮ থেকে ১০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। বুধবার পর্যন্ত এ মামলায় এজাহারনামীয় ৭ জন ও সন্দেহভাজন ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ও র্যাব। বন্দুকযুদ্ধে এজাহারনামীয় ৩ আসামি মারা যান। আর পলাতক রয়েছেন ১১ নম্বর আসামি রনি।