জানুয়ারিতে বিশেষ কর্মসূচির আওতায় গ্রামের ওয়ার্ড পর্যায়ে মাসব্যাপী টিকাদান চলবে: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
নতুন বছরের শুরুর দিন থেকে মাসব্যাপী গ্রামের ওয়ার্ড পর্যায়ে কোভিড-১৯ টিকাদান কর্মসূচি শুরু করতে যাচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ১ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে এ কর্মসূচি চলবে পুরো মাস জুড়ে। গ্রামে ওয়ার্ড পর্যায়ে শিশুদের টিকাদানে থাকা ইপিআই কেন্দ্রগুলোতেই করোনার টিকাকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হবে।
বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমকে এসব কথা জানান জাতীয় কোভিড-১৯ টিকা ব্যবস্থাপনা কর্মসূচির সদস্য সচিব ডা. শামসুল হক।
তিনি বলেন, জানুয়ারিতে মাসব্যাপী গ্রাম পর্যায়ে বিশেষ টিকাদান কর্মসূচি চলবে। কর্মসূচির অধীনে এই মাসে ৩ কোটি ডোজ টিকা দেওয়ার লক্ষ্য রয়েছে।
এর আগে বুধবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, "আমরা ইতোমধ্যেই ৩১ কোটি ডোজ করোনার পাওয়ার ব্যবস্থা করেছি। অর্ডার করা এ পরিমাণ থেকে প্রতি মাসেই প্রয়োজনীয় পরিমাণে টিকার ডোজ আমাদের হাতে চলে আসছে। আমাদের লক্ষ্যপূরণ করতে বুস্টার ডোজসহ মোট ২৮ কোটি ডোজ টিকার প্রয়োজন হবে। আরো ৩ কোটি ডোজ হাতেই থাকবে। আর ইতোমধ্যে আমরা স্কুল পর্যায়েসহ বস্তিতে গিয়েও টিকা দিয়েছি। আগামী মাস থেকে প্রতি মাসে আমরা অন্তত ৪ কোটি ডোজ টিকা দেওয়ার কাজ শুরু করছি। এর জন্য আগামী মাস থেকেই আমরা দেশের প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে দেওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছি। আশা করা যায়, আগামী মে-জুনের মধ্যেই আমাদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সক্ষম হব।"
দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবেলায় গেল ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে টিকা দেওয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৭ কোটি ২৪ লাখ মানুষ, এবং সম্পূর্ণরুপে বা দুই ডোজ টিকা পেয়েছে ৫ কোটি ১১ লাখ নাগরিক। এপর্যন্ত বুস্টার ডোজ নিয়েছে ১৫ হাজার ৪১৫ জন।