২৫ এজেন্সি ও ২৫০ সাব-এজেন্ট মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মী পাঠাবে
তিন বছর পর উন্মুক্ত হয়েছে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের শ্রমবাজার। আনুষ্ঠানিকভাবে জনশক্তি রপ্তানি চালু হলে ২৫টি বাংলাদেশি রিক্রুটমেন্ট এজেন্সি (বিআরএ) ও ২৫০ সাব-এজেন্ট মালয়েশিয়াগামী শ্রমিকদের নিয়োগদানের কাজ করবে বলে জানিয়েছে দক্ষিণপূর্ব এশীয় দেশটির একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল- মালয়সিয়াকিনি।
এর আগে উভয় দেশের সরকারের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার ভিত্তিতে নতুন করে জনশক্তি রপ্তানির চুক্তি সই হয়। সে আলোচনায় সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রের বরাতেই এসব কথা জানানো হয় গণমাধ্যমটির প্রতিবেদনে।
এদিকে মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রপ্তানিতে আবারো নির্দিষ্ট একটি সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা হবে, এমন শঙ্কা করে আসছেন দেশের রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর কর্মকর্তারা। তাদের সেই ভয়কেই যেন উস্কে দিল মালয়সিয়াকিনির এ প্রতিবেদন।
যদিও গত কয়েক দিন ধরে এমন সম্ভাবনাকে অস্বীকার করে আসছে বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।
মালয়সিয়াকিনি একটি নথির কথাও উল্লেখ করে। ওই নথিতে মালয়েশিয়ায় পুরোনো শ্রমিকদের প্রত্যাবাসন ও নতুন বাংলাদেশি কর্মীদের নিয়োগের প্রক্রিয়া ও নীতিমালাও প্রস্তাব করা হয়েছে।
নথিটি অনুসারে, মালয়েশিয়ার ফরেন ওয়ার্কার্স সেন্ট্রালাইজড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমস (এফডব্লিউসিএমএস) কাঠামোর অধীনে বিভিন্ন ধাপে কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের আবেদন থেকে শুরু করে, কর্মীরা সেদেশে আসার পর তাদের ব্যবস্থাপনা সবকিছুই হবে এই কাঠামোর মাধ্যমে।
কাঠামো পরিকল্পনার একটি অধ্যায়ে 'বাংলাদেশি রিক্রুটিং এজেন্সির (বিআরএ) সাথে এফডব্লিউসিএমএস- এর সম্পৃক্ততা ও স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাদেরকে কোটা বরাদ্দ দেওয়ার উল্লেখ রয়েছে। সেখানেই জানানো হয় যে, ২৫০ সাব-এজেন্ট সমর্থিত ২৫টি বাংলাদেশি রিক্রুটমেন্ট এজেন্সিকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্বাচিত করবে এফডব্লিউসিএমএস।
সেখানে আরও জানানো হয়, মালয়েশিয়ার নিয়োগদাতা সংস্থা চাইলে বিআরএ'র সাথে লিঁয়াজো রক্ষা করে অথবা কোনো মালয়েশীয় এজেন্ট নিযুক্ত করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবে।
এর আগে গত ১৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমেদ এবং মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ বিষয়ক মন্ত্রী দাতুক সেরি এম. সারাভানান পাঁচ বছর মেয়াদী একটি সমঝোতা স্মারকে সই করেন। ওই চুক্তির ফলে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে চলে আসা শ্রমশক্তি রপ্তানির বাধা দূর হয়।
মালয়েশিয়া যখন এদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়া বন্ধ করে তখন ১০টি বাংলাদেশি এজেন্সির একটি সিন্ডিকেট এশিয়ার উদীয়মান অর্থনীতির দেশটিতে জনশক্তি রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ করতো। এসব এজেন্সির বিরুদ্ধে ছিল ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ।
সাম্প্রতিক চুক্তির পর মালয়েশিয়া খুব শিগগিরই বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক আমদানি শুরু করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তবে দুই দেশের সরকারই তাদের সই করা সমঝোতা চুক্তির বিস্তারিত দিকগুলো প্রকাশ করেনি। এরমধ্যে শ্রমিক নিয়োগের খরচ এবং বাংলাদেশি রিক্রুটমেন্ট এজেন্সির সংখ্যায় কোনো সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে কিনা এমন তথ্যগুলি গোপন রাখা রয়েছে।