গৃহকর্মী নির্যাতনকারীরা ধরা পড়লেও শাস্তি হচ্ছে না: মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন
দেশে অব্যাহতভাবে গৃহকর্মী নির্যাতনের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও উৎকন্ঠা প্রকাশ করেছে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ)। সেইসাথে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে সংস্থাটি।
দাবিটি তুলে ধরে গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এমজেএফ বলছে, সম্প্রতি নির্যাতনের শিকার হয়ে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের বেডে শুয়ে রয়েছে কিশোরী গৃহকর্মী ফারজানা। কিন্তু নির্মম নির্যাতনের সেই একমাত্র শিকার নয়, এরকম নির্যাতন ও নিপীড়ণের ঘটনা একের পর এক ঘটেই চলেছে।
"আমরা লক্ষ্য করছি যে অপরাধীরা ধরা পড়লেও শাস্তি হচ্ছে না। ক্ষমতা খাটিয়ে বা আইনের ফাঁক গলে তারা বেরিয়ে আসছে। ফারজানাকে নিপীড়ণের অভিযোগে গ্রেফতারকৃত গৃহকত্রী সামিয়া ইউসুফেরও ইতোমধ্যে জামিন হয়েছে।"
বেসরকারি সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র জানিয়েছে, ২০২১ সালে জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ১১২ জন গৃহকর্মী ধর্ষণের পরে নিহত হয়েছেন। এদের ৫৭ জনের বয়স ১৩-১৮ বছর, ২৪ জনের বয়স ৭-১২ এবং ১২ জনের বয়স ৬- এর নীচে। রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে আরও ৫ শিশুর। এছাড়া অসংখ্য গৃহকর্মী নির্যাতনের শিকার হচ্ছে।
ফাউণ্ডেশন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি ২০১৫ আছে উল্লেখ করে বলেছে, তারা বহুদিন ধরে সরকারের সাথে এই নীতি প্রণয়নে কাজ করছে। সেই নীতিমালাতে গৃহকর্মীদের সাথে ভাল ব্যবহার, তাদের বেতনভাতা ঠিকমতো পরিশোধ, নির্যাতন না করা, শারীরিক ও মানসিক নিরাপত্তা বিধান, ভরণপোষণ, ছুটি ও প্রণোদনাসহ আরো সুবিধাদির কথা স্পষ্ট করে বলা আছে।
বর্তমান বাস্তবতায় এই নীতিমালা থেকে দ্রুত আইন প্রণয়নের জন্য দাবি জানিয়েছে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন।