বিএনপির লবিস্ট নিয়োগের বিষয়ে তদন্তের সক্ষমতা নেই ইসির
বিএনপির লবিস্ট নিয়োগের বিষয়ে তদন্তের জন্য নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সক্ষমতা নেই বলে জানিয়েছে ইসি।
বৃহস্পতিবার বিকালে ৯৩তম কমিশন সভা শেষে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের এই কথা বলেন ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার।
সচিব বলেন, বিএনপির লবিস্ট নিয়োগের বিষয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী যে চিঠি দিয়েছে, কমিশন বৈঠকে তা নিয়ে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা হয়েছে। নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলো কমিশনে যে অডিট রিপোর্ট জমা দেয়, তা পর্যালোচনা করে দেখা হয়। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল যে অডিট রিপোর্ট জমা দিয়েছে তাতে এমন কোনো তথ্য নেই যে বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ করার জন্য কোনো অর্থ ব্যয় করা হয়েছে। তাছাড়া বিদেশে অর্থ ব্যয় করা হলে তা তদন্ত করার আইনি কাঠামো ও সক্ষমতা কমিশনের নেই।
এছাড়া কমিশনের আইনি কাঠামোতে তথ্য পাচার সংক্রান্ত বিষয় পড়ে না বলেও তিনি জানান।
তিনি বলেন, সরকারের যেসব এজেন্সি অর্থ পাচার সংক্রান্ত বিষয় তদন্ত করতে পারে, তারা তদন্ত করে নির্বাচন কমিশনকে দিলে, কমিশন তা পর্যালোচনা করে দেখবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ যেহেতু কমিশনের নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল নয়, ফলে তাদের বিষয়ে কমিশনের কিছু করণীয় নেই।
কমিশনের এই সিদ্ধান্ত পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে জানিয়ে দেওয়া হবে বলেও জানান ইসি সচিব।
লবিস্ট নিয়োগ প্রমাণিত হলে কমিশনের এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই রকম বিষয় যদি প্রমাণিত হয় এবং কমিশনকে যদি জানানো হয়, তাহলে তা কমিশন বসে সিদ্ধান্ত নেবে।
অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগও লবিস্ট নিয়োগ করেছে, বিষয়টি তারা খতিয়ে দেখেছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের কাছে এই ধরনের কোনো অভিযোগ আসেনি। আজকের (গতকাল) বৈঠকে যে আলোচ্য বিষয় সেখানে এ ধরনের কিছু আসেনি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম ও বেগম কবিতা খানম উপস্থিত ছিলেন।
সদ্য করোনামুক্ত হওয়া নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার কমিশনে আসলেও বৈঠক শুরুর আগে পূর্ব নির্ধারিত ডাক্তারের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় থাকায় এবং নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) শাহাদাত হোসেন চৌধুরীর স্ত্রী অসুস্থ থাকায় সভায় অংশ নেননি।