আইজিপির জার্মানি সফরের সরকারি আদেশে ভুল: পুলিশ
বিছানার চাদর ও বালিশের কাভার কিনতে নয়, বরং এসব জিনিসে ব্যবহৃত উপকরণের মান যাচাইয়ে পুলিশ মহাপরিদর্শকের জার্মানিতে যাওয়ার কথা ছিল। পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদসহ সরকারের তিন কর্মকর্তার ৯ দিনের জন্য জার্মানি সফরে যাওয়ার একটি আদেশ (জিও) জারি করেছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ আদেশকে 'অসাবধানতাবশত ভুল' বলে দাবি করেছে পুলিশ সদর দপ্তর।
শনিবার পুলিশ সদর দপ্তরের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) মো. কামরুজ্জামান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
এআইজি কামরুজ্জামান বলেছেন, চাদর ও বালিশের কাভার কোনোটিই বিদেশ থেকে আমদানি করা হচ্ছে না। জিও-তে শব্দগত বিন্যাসের কারণে এ ধরনের বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। পুলিশের জন্য বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জাম ক্রয় একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। সরকারি ক্রয় নীতিমালা অর্থাৎ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রুল অনুসরণ করেই কেনাকাটা সম্পন্ন করা হয়ে থাকে। ক্রয়ের ক্ষেত্রে ক্রয়কারী কর্তৃপক্ষ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এবং উৎপাদনের সংশ্লিষ্ট কাঁচামাল প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে সরকারি একটি আদেশকে উদ্ধৃত করে খবর প্রকাশিত হয় যে, পুলিশ সদস্যদের জন্য জার্মানি থেকে বালিশের ডাবল কাভারসহ ১ লাখ বিছানার চাদর কেনা হচ্ছে। আর এসব পণ্যের মান পরীক্ষা করতে পুলিশ প্রধান ড. বেনজীর আহমেদ জার্মানি যাচ্ছেন।
এ বিষয়ে গত ৭ ফেব্রুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মাহবুবুল আলম মজুমদারের সই করা এক চিঠিতে বলা হয়েছে, চাদর ও বালিশের কাভার শিপমেন্টের আগেই মান পরীক্ষা করতে পুলিশের আইজিপি বেনজীর আহমেদের জার্মানি যাওয়ার কথা রয়েছে চলতি মাসে। তার সঙ্গে যাবেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব মো. ফিরোজ উদ্দিন খলিফা ও পুলিশ সদর দপ্তরের এসপি ও আইজিপির স্টাফ অফিসার মোহাম্মদ মাসুদ আলম।