কঠোর পরিশ্রম করে দায়িত্ব পালন করেছি: বিদায়বেলায় সিইসি
আজ সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। বিদায়ী সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা বলেন, "পাঁচ বছরের দায়িত্বে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছি। তবে সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেছি। আমাদের উপর যে দায়িত্ব ছিল, কঠোর পরিশ্রম করে সে দায়িত্ব পালন করেছি।"
নির্বাচন ভবনে আজ আয়োজন করা হয় এই সংবাদ সম্মেলনের।
নূরুল হুদা সফলভাবে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার দাবি করলেও তার কমিশনের সময়ই একেকটি নির্বাচনে দেশজুড়ে ব্যাপক সহিংসতা, নির্বাচনী সংঘাত, হানাহানি, মনোনয়ন বাণিজ্য, ভোট-জালিয়াতি দেখা গেছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, সর্বশেষ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের কথা। আটটি ধাপে ভোটগ্রহণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে সব মিলিয়ে ভোট পড়েছে ৭২.২ শতাংশ। নির্বাচনি সহিংসতায় প্রাণ গেছে ১০০ জনের। নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ গত ১০ ফেব্রুয়ারি সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
অন্যদিকে সব নির্বাচন সম্পন্ন করেছি জানিয়ে সিইসি বলেন, "আমরা ৬ হাজার ৬৯০টি নির্বাচন করেছি। রুটিন কাজের বাইরেও অনেক কাজ করেছি। আইন সংস্কারের বেশ কিছু কাজ করেছি। আরপিও, বাংলায় রূপান্তরসহ অনেকগুলো বিধিমালা করেছি।"
তিনি বলেন, "২৪ হাজার ৮৮১ জনকে প্রশিক্ষণ দিয়েছি। বিশেষ করে ইভিএমে। করোনার কারণে সীমানা পুনঃনির্ধারণ করতে পারিনি।"
"স্থানীয় সরকারের সকল নির্বাচন সম্পন্ন করেছি। ইভিএম বড় ধরণের চ্যালেঞ্জ ছিল। অত্যন্ত সফলতার সাথে করতে পেরেছি। এনআইডি সহজীকরণ করা হয়েছে। ভাণ্ডার সমৃদ্ধ হয়েছে। আমরা মনে করি যে আমাদের উপর যে দায়িত্ব ছিল কঠোর পরিশ্রম করে সে দায়িত্ব পালন করেছি।"
এছাড়া কমিশন থেকে যাওয়ার পর বিব্রতবোধ করবেন কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, "মোটেই না। কোনো বিব্রতবোধ নেই, কোনো দুর্বলতা নেই। আমরা নিরপেক্ষ থেকে কাজ করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি।"
সংবাদ সম্মেলনে জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার নির্বাচন ভবনে থাকলেও উপস্থিত হননি। আর করোনা পজেটিভ থাকায় বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন উপস্থিত থাকতে পারেননি।
তবে পরে মাহবুব তালুকদার আলাদা করে প্রেস বিফ্রিং করেন।