ইউক্রেন ইস্যুতে জাতিসংঘে ভোটদানে বিরত থাকলো বাংলাদেশ
ইউক্রেন থেকে রাশিয়াকে তার সামরিক বাহিনী প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) গৃহীত প্রস্তাবে ভোটদান করা থেকে বিরত থাকলো বাংলাদেশ।
বুধবার (৩ মার্চ) জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের এক জরুরি অধিবেশনে 'অবিলম্বে, সম্পূর্ণ এবং নিঃশর্ত' প্রত্যাহারের দাবিতে প্রস্তাবটি গৃহীত হয়।
জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে ১৪১ সদস্যই এই প্রস্তাবে সমর্থন জানায়।
এই প্রস্তাবে ভোটদান থেকে বিরত থাকা ৩৫টি দেশের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ, চীন, ভারত, পাকিস্তান এবং দক্ষিণ আফ্রিকা।
ইতোমধ্যে পাঁচটি দেশ - ইরিত্রিয়া, উত্তর কোরিয়া, সিরিয়া, বেলারুশ এবং রাশিয়া - এই প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে।
দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র দেশ হিসেবে নেপালই এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে।
জাতিসংঘের এই জরুরি অধিবেশন চলাকালীন সময়ে নিউইয়র্কে ছিলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। তবে, অধিবেশনে অংশ নেননি তিনি।
স্থানীয় বাংলা টেলিভিশনের সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, সব ধরনের যুদ্ধ ও আন্তর্জাতিক সংকট বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী।
তিনি আরও বলেন, "আমরা সব ধরনের যুদ্ধের বিরুদ্ধে। জাতিসংঘ মহাসচিবের উদ্যোগে এই সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান চাই আমরা।"
তিন দিনব্যাপী অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধির উপপ্রধান মোহাম্মদ মনোয়ার হোসেন জাতিসংঘ মহাসচিবকে কূটনৈতিক উদ্যোগ গ্রহণ এবং যুদ্ধ থেকে সরে যেতে আগ্রহীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
নতুন প্রস্তাবটি 'ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার আগ্রাসনের' প্রতি 'নিন্দা' জানায়। এটি জাতিসংঘ সনদের অনুচ্ছেদ ২(৪) এর লঙ্ঘন।
সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময়, অধিবেশনের সভাপতি আবদুল্লাহ শহীদ বলেন, প্রস্তাবটি ইউক্রেনের পরিস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের গভীর উদ্বেগকে তুলে ধরছে করে।
প্রস্তাবটি উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, "আমি সদস্য দেশগুলোর সাথে 'আবাসন, স্কুল ও হাসপাতালের মতো বেসামরিক সুবিধার উপর হামলার রিপোর্ট এবং নারী, বয়স্ক ব্যক্তি, প্রতিবন্ধী ও শিশুসহ বেসামরিক হতাহতের রিপোর্ট' নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছি।"
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, এই রেজুলেশনের পাশে দাঁড়াতে এবং এর আহ্বানে কাজ করতে বাধ্য তিনি।
"সাধারণ পরিষদের বার্তা স্পষ্ট: ইউক্রেনে এখনই শত্রুতা বন্ধ করুন। এখনই বন্দুক নামিয়ে ফেলুন। সংলাপ এবং কূটনীতির পথে আসুন," বলেন তিনি।