ইউক্রেনকে সহায়তা দিতে যে ব্যয় হবে, রাশিয়া জিতলে তারচেয়ে অনেক বেশি খরচ হবে যুক্তরাষ্ট্রের
ইউক্রেনকে মার্কিন অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ এবং যুদ্ধে রাশিয়া জয়ী হলে তাতে যুক্তরাষ্ট্রের খরচ তো কমবে না-ই, উল্টো ২০২৯ সালের মধ্যে পেন্টাগনের খরচ ৮০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি বাড়বে। একটি রক্ষণশীল থিঙ্কট্যাঙ্কের নতুন প্রতিবেদনে এ দাবি করা হয়েছে।
আমেরিকান এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের (এইআই) বিশ্লেষণ অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এ যুদ্ধে সাফল্য পেলে ইউরোপের চেহারাই বদলে যাবে। সেইসঙ্গে রাশিয়ার বিজয় সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যদের হুমকির মুখে ফেলবে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের বাইরেও রাশিয়ার 'অ-পরমাণু' আক্রমণ প্রতিরোধ বা মোকাবিলা করতে যুক্তরাষ্ট্রকে বাড়তি ৮০৮ বিলিয়ন ডলার খরচ করতে হবে। এর ফলে প্রতিরক্ষা দপ্তরের ২০২৯ সাল পর্যন্ত বর্তমান পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ৪.৪ ট্রিলিয়ন ডলার থেকে বাড়িয়ে ৫.২ ট্রিলিয়ন ডলার করতে হবে। অর্থাৎ বছরে গড়ে আরও ১৬৫ বিলিয়ন ডলার বেশি ব্যয় হবে।
এইআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়া যদি ইউক্রেনে বিজয়ী হয়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তার ওপরও এর প্রভাব পড়বে। অন্য শত্রুরাও রাশিয়ার এই সাফল্য থেকে অনুপ্রেরণা পাবে এবং বিশ্ব ইউক্রেনকে সমর্থন দেওয়া কমাতে শুরু করবে।
ইউক্রেনকে সমর্থন অব্যাহত রাখা আর্থিক দৃষ্টিকোণ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের জন্য সর্বোত্তম পদক্ষেপ বলে দাবি করেছে থিঙ্কট্যাঙ্কটি।
নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনে সহায়তা বাড়ানো বা পুরোপুরি বন্ধ করার সম্ভাবনা উন্মুক্ত রেখেছেন, যাতে কিয়েভ ও মস্কোকে সমঝোতায় বাধ্য করা যায়।
ট্রাম্প প্রেসিডেন্টের পদাধিকারবলে ইউক্রেনের জন্য মার্কিন সামরিক ইনভেন্টরি থেকে ৩ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি নিতে পারবেন। তবে তিনি এখনও কংগ্রেসের কাছে অতিরিক্ত সহায়তার অনুমোদন চাওয়ার ইঙ্গিত দেননি।
অন্যদিকে বাইডেন প্রশাসন ইউক্রেনের জন্য ৫০০ মিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তার চূড়ান্ত প্যাকেজ ঘোষণা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছে পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত সূত্রগুলো।
এইআই বলেছে, রাশিয়াকে বিজয়ী হতে দিলে দীর্ঘমেয়াদে যে খরচ হবে, তার তুলনায় ইউক্রেনকে সহায়তা করার তাৎক্ষণিক খরচ অনেক কম।