পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান দুপুর ২টার মধ্যে শেষ করতে হবে: ডিএমপি
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেছেন, আসন্ন পহেলা বৈশাখের সব অনুষ্ঠান দুপুর ২টার মধ্যে শেষ করতে হবে।
মঙ্গলবার বিকেলে বাংলা নববর্ষ উদযাপনের প্রধান ভেন্যু রমনা বটমূলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে ডিএমপি প্রধান এ ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, "মহামারিজনিত কারণে দুই বছর স্থগিত থাকার পর, নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর ঐতিহ্যবাহী উৎসব পহেলা বৈশাখ এবার সীমিত পরিসরে উদযাপন করা হবে। রমজানের কারণে এবারের উদযাপন ভিন্ন হবে। 'পান্তা ভাত'সহ কোনো খাবারের স্টল থাকবে না এবার।"
তিনি বলেন, ছায়ানটের অনুষ্ঠান সকাল ১১টার মধ্যে শেষ করতে বলা হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দুপুর ২টার মধ্যে রমনার মেলা শেষ করতে বলা হয়েছে। দুপুর ১টা থেকে মেলার সব প্রবেশপথ বন্ধ থাকবে।
অনুষ্ঠান শেষে বের হয়ে মানুষ যাতে সহজেই তাদের ইফতার করতে পারে, সেজন্য এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, মঙ্গল শোভাযাত্রায় যোগদানকারীদেরকে চেকিং করতে হবে এবং কেউ যাতে মাঝপথে শোভাযাত্রায় যোগ না দেয় তা নিশ্চিত করবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, টিএসসি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এবং এলাকার আরও কয়েকটি পয়েন্টে বেশ কয়েকটি চেকপোস্ট স্থাপন করা হবে। এসব এলাকায় অনুষ্ঠান চলাকালীন কোনো যানবাহন চলাচল করতে দেওয়া হবে না বলেও জানান তিনি।
"পুরো এলাকা সিসিটিভির অধীনে থাকবে। পাশাপাশি সেখানে সোয়াট এবং বোমা নিষ্ক্রিয়কারী ইউনিট মোতায়েন করা হবে," তিনি যোগ করেন।
২০০১ সালের সন্ত্রাসী হামলার কথা উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, "এ ধরনের হামলার কথা মাথায় রেখেই আমরা পরিকল্পনা নিয়েছি। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে লোকজনকে উদ্ধারে আলাদা টিম প্রস্তুত থাকবে।"
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ইভটিজিং প্রতিরোধে সাদা পোশাকের পুলিশ সদস্যরা মাঠে থাকবে।
এলাকায় কোনো খাবারের দোকান থাকবে না বলে মেলা প্রাঙ্গণে ছোট বাচ্চাদের না আনার জন্য তিনি লোকজনকে অনুরোধ করেন।
"উচ্চ শব্দের কোনো বাদ্যযন্ত্র বহন করার অনুমতি দেওয়া হবে না," যোগ করেন তিনি।