নাহিদ হত্যায় জড়িত ২ জনকে শনাক্ত করেছে পুলিশ
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীদের মধ্যে সাম্প্রতিক সংঘর্ষে ডেলিভারি ম্যান নাহিদ হোসেন হত্যার ঘটনায় সরাসরি জড়িত দুজনকে শনাক্ত করেছে পুলিশ।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সহকারী কমিশনার (নিউ মার্কেট জোন) শরীফ মোহাম্মদ ফারুকুজ্জামান বলেন, একটি ভিডিও ফুটেজ ও অন্যান্য প্রমাণ যাচাই-বাছাই করে পুলিশ দুজনকে শনাক্ত করেছে।
দুইজনের একজনের নাম কাইয়ুম, আরেকজনের নাম জানায়নি পুলিশ। দুইজনই ঢাকা কলেজের ছাত্র।
পুলিশ শনাক্তদের ব্যাপারে বিস্তারিত জানায়নি, তবের দেশের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনগুলোতে শনাক্তদের পরিচয় প্রকাশিত হয়েছে। শনাক্ত দুইজনই ঢাকা কলেজের উত্তর ছাত্রাবাসে থাকেন। দুইজনই ঢাকা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির এক নেতার অনুসারী। ওইদিনই, ধারালো অস্ত্র হাতে দাপিয়ে বেড়ানো আরও দুইজনকে শনাক্ত করা গেছে, তারা দুইজনও ঢাকা কলেজের ছাত্র ও ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
নাহিদ ও দোকানকর্মী মোরসালিন হত্যায় অংশ নেওয়া অস্ত্রধারী মোট ১৭ জনকে চিহ্নিত করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। নাহিদ ও মোরসালিন হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলা দুটি তদন্ত করছে ডিবি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিও, সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ, ক্যামেরার ফুটেজ ও তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে ওই ১৭ যুবককে শনাক্ত করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
গোয়েন্দা পুলিশের রমনা বিভাগের একটি সূত্র বলছে, তাদের অধিকাংশই ঢাকা কলেজের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থী। কয়েকজনের আছে রাজনৈতিক পরিচয়ও। তাদের নাম-ঠিকানা ও পারিবারিক পরিচয় সবই সংগ্রহ করেছেন তারা। তবে এখনই তাদের গ্রেপ্তার বা পরিচয় প্রকাশে আগ্রহী নয় পুলিশ।
গত মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) সংঘর্ষ চলাকালীন আহত হন নাহিদ, রাত আনুমানিক ৯:৫০ এর দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকলে মারা যান তিনি। রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের বাটা সিগন্যাল এলাকার ডিলিংক কুরিয়ার সার্ভিসে কাজ করতেন তিনি।
ওইদিন নীলক্ষেত মোড়ে নিউমার্কেটের দোকানদারদের সঙ্গে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের কয়েক দফা সংঘর্ষে নাহিদ ও আরেক যুবক নিহত এবং সাংবাদিক ও শিক্ষার্থীসহ ৩০ জনের বেশি আহত হয়।