নিউমার্কেট সংঘর্ষ: নাহিদ হত্যার ঘটনায় ছাত্রলীগের কর্মীসহ ঢাকা কলেজের ৫ শিক্ষার্থী আটক
নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী ও কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় কুরিয়ার সার্ভিসের কর্মচারী নাহিদ হাসানকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ঢাকা কলেজের পাঁচ শিক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন- মোঃ আব্দুল কাইয়্যূম (৪র্থ বর্ষ), পলাশ মিয়া (৪র্থ বর্ষ), মাহমুদ ইরফান (৪র্থ বর্ষ), জুনায়েদ বোগদাদী (১ম বর্ষ) এবং ফয়সাল ইসলাম।
একাধিক গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, তারা ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের আরও কয়েকজনের সঙ্গে মিলে নাহিদ হত্যায় জড়িত ছিলেন।
"রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের আটক করা হয়েছে। নিউমার্কেট থানায় তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে", ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার প্রধান হাফিজ আক্তার আজ এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
"কে তাদের অস্ত্র সরবরাহ করলো, আর ইন্ধনদাতাই বা কে ছিল- আমরা তাদের সে সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করব", বলেন হাফিজ আক্তার।
ঢাকা কলেজে বর্তমানে ছাত্রলীগের কোনো কমিটি নেই। গত এক দশকে সেখানে ছাত্রলীগের দুটি কমিটি হয়েছে। সংঘর্ষে এক ছাত্র নিহত হওয়ার পর প্রথম কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়। ২০১৬ সালে আরেকটি সংঘর্ষের পর দ্বিতীয় কমিটির আহ্বায়ক এবং আরও ২০ জন ছাত্রলীগ কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়। তাই এখন ঢাকা কলেজের ছাত্রলীগ কর্মীরা কয়েকটি উপদলে বিভক্ত। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ছাত্রলীগ নেতা এসব জানিয়েছেন।
গত ১৯ এপ্রিল মধ্যরাতে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কয়েকজন ব্যবসায়ীর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ সময় প্রায় আড়াই ঘণ্টা যাবত ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে। হামলায় বেশ কয়েকটি দোকান ভাঙচুর এবং একাধিক ব্যবসায়ীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়।
দু'দিন ধরা চলা এ সংঘর্ষে ২ জন নিহত ও কমপক্ষে অর্ধশতাধিক আহত হয়।
সহিংসতার ঘটনায় চারটি মামলা দায়ের করা হয়। এর আগে পুলিশের দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়া, আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের উপর হামলা এবং সংঘর্ষের সময় সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতির অভিযোগে গত ২২ এপ্রিল নিউমার্কেট থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি মকবুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।