পশ্চিমবঙ্গে ৩ দিনের রিমান্ডে পিকে হালদার
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের এক আদালত পিকে হালদারকে তিনদিনের রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দিয়েছেন।
দেশটির বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, শনিবার (১৪ মে) উত্তর ২৪ পরগনার একটি আদালতে রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছিল, আজ রিমান্ডের আবেদন মঞ্জুর করা হয়।
গতকাল ভারতে পিকে হালদার এবং তার স্ত্রী, ভাই ও আইনজীবী সুকুমারসহ তার পাঁচ সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, শনিবার (১৪ মে) কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার অন্তত নয়টি জায়গায় একাধিক অভিযান চালানোর সময় ভারতের অর্থ মন্ত্রণালয়ের তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) তাকে গ্রেপ্তার করে।
উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার অশোক নগরের একটি বাড়িতে আত্মগোপন করে ছিলেন পিকে হালদার।
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনুদ্দিন আবদুল্লাহ বলেছেন, তাকে যত দ্রুত সম্ভব দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে।
পি কে হালদার ভারতীয় নাগরিক হিসেবে পশ্চিমবঙ্গে বাস করছিলেন। পশ্চিমবঙ্গ সরকার প্রদত্ত রেশন কার্ড, ভারতীয় ভোটার আইডি কার্ডসহ প্যান ও আধার কার্ড সংগ্রহ করে তিনি শিবশঙ্কর হালদার নাম ব্যবহার করছিলেন বলে জানানো হয়েছে ইডির এক বিবৃতিতে।
ইডি কর্মকর্তারা জানতে পেরেছেন যে, এসব কার্ড ব্যবহার করে সন্দেহভাজনরা ভারতে কোম্পানি খুলেছিলেন। এছাড়া কলকাতাসহ বিভিন্ন জায়গায় স্থাবর সম্পত্তিও কেনেন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে আত্মসাৎ করা অর্থ অন্যান্য দেশেও পাচার করা হয়েছে।
এর আগে ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি পি কে হালদারের বিরুদ্ধে প্রায় ২৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, পলাতক পি কে হালদার নিজের নামে বিভিন্ন অবৈধ উপায়ে এবং বিভিন্ন আসল ও ভুয়া কোম্পানি ও ব্যক্তির নামে প্রায় ৪২৬ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন।
অবৈধ সম্পদের অবস্থান গোপন করতে ১৭৮টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে অর্থ লেনদেন করেন পি কে হালদার। এসব অ্যাকাউন্টে তিনি ৬ হাজার ৮০ কোটি টাকা জমা রাখেন এবং নিজ নামে ও বেনামে ৬ হাজার ৭৬ কোটি টাকা উত্তোলন করেন।
দুদকের তথ্যানুসারে, পি কে হালদার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে অন্তত ১১ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
দুদক সূত্র জানায়, তদন্তে তারা এখন পর্যন্ত যে পরিমাণ আত্মসাৎ করার কথা জানতে পেরেছে, সেই পরিমাণ আরও বাড়তে পারে।