ভোটে জিতলে দিল্লি থেকে বাংলাদেশের ‘অবৈধ’ অভিবাসীদের বের করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি অমিত শাহর
ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, আগামী মাসে অনুষ্ঠেয় দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে তার দল বিজয়ী হলে ভারতের রাজধানী শহরটি থেকে বাংলাদেশের সব 'অবৈধ' অভিবাসীকে 'দুই বছরের মধ্যে' বের করে দেওয়া হবে।
রোববার এক সমাবেশ হাজারো জনতার উদ্দেশে তিনি বলেন, 'বর্তমান রাজ্য সরকার অবৈধ বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাদের থাকার সুযোগ দিচ্ছে। সরকার পরিবর্তন করুন, আমরা দিল্লিকে অবৈধ অভিবাসী থেকে মুক্ত করব'।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে কয়েক হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ অভিন্ন সীমান্ত রয়েছে। বহু বছর ধরেই এ সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অভিবাসন নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক চলে আসছে। দিল্লিতে কত সংখ্যক বাংলাদেশি অবৈধভাবে বসবাস করছেন, সে বিষয়ে নির্ভরযোগ্য কোনো তথ্য নেই।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহর দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সমালোচকদের অভিযোগ- দলটি নির্বাচনে হিন্দু জাতীয়তাবাদী সমর্থন জোরদার করতে মুসলিমদের বিরুদ্ধে এ ইস্যুকে ব্যবহার করছে।
দিল্লিতে জনসংখ্যা ৩০ মিলিয়নেরও বেশি। গত ১০ বছরের মধ্যে বেশিরভাগ সময়ই দিল্লির শাসনক্ষমতায় ছিলেন আম আদমি পার্টির (এএপি) নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
দশ বছর আগে দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনের নেতা হিসেবে ক্ষমতায় আসেন কেজরিওয়াল। রাজধানীর লাখ লাখ দরিদ্র মানুষের জন্য পানি ও বিদ্যুৎ পরিষেবায় ভর্তুকি প্রদান তার জনপ্রিয়তা আরও বাড়িয়েছে। তিনি তার ভূমিকার কারণে নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহর অন্যতম প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বীতে পরিণত হয়েছেন।
গত বছর কেজরিওয়াল ও তার দলের কয়েকজন নেতাকে মদের লাইসেন্স নিয়ে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়।
কেজরিওয়াল এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, এটি মোদি সরকারের রাজনৈতিক প্রতিশোধ। গত বছর দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে থেকে সরে দাঁড়ালেও তিনি জানিয়েছেন, নির্বাচনে তার দল জয়ী হলে আবারও মুখ্যমন্ত্রী হবেন তিনি।
আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি দিল্লি বিধানসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ফলাফল প্রকাশ হবে ৮ ফেব্রুয়ারি। নির্বাচনে জিততে বিজেপি কেজরিওয়ালের দলের বিপক্ষে ব্যাপক প্রচারণা চালাচ্ছে।