আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন হাজী সেলিমের
দুর্নীতির অভিযোগে সাজাপ্রাপ্ত ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিম বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেছেন।
হাজী সেলিমের পক্ষে তার আইনজীবী শ্রী প্রাণ নাথ ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক শহিদুল ইসলামের আদালতে আজ এ আবেদন করেন।
প্রাণ নাথ গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, দুপুর ২টার দিকে আদালতে হাজী সেলিম সশরীরে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইবেন।
জামিনের আবেদনে প্রাণ নাথ উল্লেখ করেছেন, ২০১৬ সালে হৃৎপিণ্ডে অস্ত্রোপচারের সময় মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের পর থেকে হাজী সেলিম দীর্ঘদিন যাবত বাকশক্তিহীন অবস্থায় রয়েছেন।
এজন্য তিনি দেশ-বিদেশে চিকিৎসাও নিয়েছেন।
গত ৫ মে থাইল্যান্ড থেকে দেশে ফেরেন হাজী সেলিম। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হয়েও চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যাওয়ায় তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি হয়।
২০০৭ সালের ২৪ অক্টোবর হাজী সেলিমের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় ২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল তাকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত।
২০০৯ সালের ২৫ অক্টোবর এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন হাজী সেলিম। ২০১১ সালের ২ জানুয়ারি হাইকোর্ট এক রায়ে তার সাজা বাতিল করেন। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে দুদক।
ওই আপিলের শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি হাইকোর্টের রায় বাতিল করে পুনরায় শুনানির নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।
২০২০ সালে হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে মারধর করার পর মামলা হলে নতুন করে হাজী সেলিমের কর্মকাণ্ড নিয়ে আলোচনা হতে থাকে।