খালেদা জিয়া ও হাজী সেলিম জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না: দুদক আইনজীবী
দুর্নীতি মামলায় দুই বছরের বেশি কারাদণ্ড পাওয়ায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও আওয়ামী লীগের এমপি হাজী সেলিম সহ দণ্ডিত কেউ আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
তিনি বলেন, "গত রবিবার হাইকোর্ট রায়ে বলেছেন, দুর্নীতির মামলায় দুই বছরের বেশি সাজাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তির জামিন বা সাজা আপিলে স্থগিত থাকলেও তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না, যদি না তার সাজা উপযুক্ত আদালত কর্তৃক বাতিল না হয়।"
"কারো আপিল আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের ওই রায় যদি আপিল বিভাগ স্থগিত করেন, তাহলে নির্বাচনে অংশ নেয়ার সুযোগ পাবেন", যোগ করেন এই আইনজীবী।
সোমবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে সুপ্রিম কোর্টে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এমনটা বলেন খুরশীদ আলম খান।
খুরশীদ আলম খান আরও বলেন, "হাইকোর্ট রবিবার প্রকাশিত রায়ে বলেছেন, সাজা কখনও স্থগিত হয় না। উপযুক্ত আদালতে সাজা বাতিল না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ নেই। এই রায়ের আলোকে খালেদা জিয়া, হাজি সেলিম সহ দুই বছরের বেশি সাজাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তিই আসন্ন সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। কারণ তাদের সাজা বাতিল হয়নি। যদি হাইকোর্টের রায় আপিল বিভাগ সংশোধন করেন বা বাতিল করেন সেটা ভিন্ন কথা।"
তিনি বলেন, "কারও সাজা স্থগিত করলেই নয়, উপযুক্ত আদালত কর্তৃক সাজা বাতিল হলেই নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন।"
এর আগে রোববার (২২ অক্টোবর) একটি রায়ের পর্যবেক্ষণে হাইকোর্ট বলেন, দুর্নীতির মামলায় দুই বছরের ওপর সাজাপ্রাপ্ত আসামি সাংবিধানিকভাবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অযোগ্য। ২০১৮ সালের ২৭ নভেম্বর দেয়া ওই রায়ের ৪৪ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি রবিবার সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।
সংবিধানকে উদ্ধৃত করে হাইকোর্ট রায়ে বলেন, দুই বছরের ওপর সাজাপ্রাপ্ত আসামি সংবিধান অনুযায়ী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অযোগ্য হবেন।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রায়ের পর্যবেক্ষণে এ মন্তব্য করেন।