গ্রামীণ টেলিকমের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের
নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মালিকানাধীন গ্রামীণ টেলিকমের অবসায়ন চেয়ে হাইকোর্টে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার করে নিয়েছে টেলিকমটির শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন।
গ্রামীণ টেলিকমের চাকরিচ্যুত ১৭৬ জন শ্রমিকের পাওনা বাবদ আড়াই শত কোটি টাকার বেশি পরিশোধ না করায় এই মামলা করেছিল গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন।
শ্রমিকদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউসুফ আলী দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, শ্রমিকদের পাওনা টাকা দিতে গ্রামীণ টেলিকম সম্মত হয়েছে। এখন পাওনা পরিশোধের জন্য প্রতিষ্ঠানটি হিসেব-নিকেশ করছে। দুয়েকদিনের মধ্যে এই টাকা পরিশোধ করতে পারে।
তিনি বলেন, টাকা পরিশোধের শর্ত হিসেবে গ্রামীণ থেকে বলা হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা সকল মামলা প্রত্যাহার করার জন্য।
সেজন্য কোম্পানী অবসায়ন চেয়ে দায়ের করা মামলাটি সোমবার বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক কোম্পানি বেঞ্চ থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। পাওনার বিষয়টি মিমাংসা হচ্ছে, এই আদালতকে জানানো হয়েছে।
এই আইনজীবী জানান, এই টাকা পাওনা আদায়ে ঢাকার শ্রম আদালতে আরও প্রায় ১০৪টি মামলা ছিল, সেগুলোও প্রত্যাহার করে নিয়েছেন শ্রমিকরা।
গ্রামীণ টেলিকম অবসায়ন করে শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের দাবিতে গত ৭ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে মামলা করা হয়।
দীর্ঘদিন ধরে গ্রামীণ টেলিকমে শ্রমিক ছাঁটাইকে কেন্দ্র করে শ্রমিক অসন্তোষ চলছে। শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন (বি-২১৯৪) সিবিএর সঙ্গে আলোচনা না করেই এক নোটিশে ৯৯ কর্মীকে ছাঁটাই করে গ্রামীণ টেলিকম কর্তৃপক্ষ। গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আশরাফুল হাসান স্বাক্ষরিত এক নোটিশের মাধ্যমে এ ছাঁটাই করা হয়েছে। এরপর সেই নোটিশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করেন ২৮ জন কর্মী। এই ছাঁটাইকে কেন্দ্র করে ড. ইউনূসকে তলব করেছিলেন হাইকোর্ট। ২০২১ সালের ০৪ এপ্রিল দিয়েছিলেন শ্রমিকদের পুনর্বহালের নির্দেশ।
এছাড়া গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করে ঢাকার কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর। ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে এ মামলা করেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান। বিবাদীদের আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেছিলেন আদালত।