মানুষ এখন চাইলে তিন বেলাও মাংস খেতে পারে: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
দেশের বিজ্ঞানীদের নিরলস প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের প্রাণিসম্পদ খাতে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। ফলে এখন মানুষ চাইলে তিন বেলাও মাংস খেতে পারে বলে মন্তব্য করেন মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
শনিবার (২৮ মে) রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে 'প্রাণিসম্পদ খাতে উন্নয়ন ও সম্ভাবনা: গণমাধ্যমের ভূমিকা' শীর্ষক কর্মশালা ও ফেলো নির্বাচনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এ মন্তব্য করেন।
তিনি এমন সময়ে এ দাবি করলেন, যখন নিত্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি মানুষের জীবনযাপন দুর্বিষহ করে তুলেছে, অনেকেই এখন খাদ্যসহ দৈনন্দিন অনেক খরচ কমাতে বাধ্য হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, 'লাইভস্টক সেক্টরের উদ্যোক্তারা বেকারত্ব দূর করে স্বাবলম্বী হওয়ার পথ দেখানোর পাশাপাশি গ্রামীণ অর্থনীতি সচল রাখতে ভুমিকা রাখছে। সম্ভাবনাময় এ খাতটিকে দ্রুত এগিয়ে নিতে হবে, কারণ এখান থেকেই মাংস, দুধ ও ডিমের বড় যোগান আসে। এ খাতে উৎপাদন না হলে দেশে খাদ্য ও পুষ্টির সংকট তৈরি হবে। এ খাত পুষ্টি ও আমিষের চাহিদা পূরণের মাধ্যমে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।'
অনুষ্ঠানে এলডিডিপি প্রজেক্টের চীফ টেকনিক্যাল কো-অর্ডিনেটর ড. মো. গোলাম রব্বানী এক উপস্থাপনায় তুলে ধরেন, দুধ উৎপাদনে শীর্ষ ৬ দেশের মধ্যে প্রতিবেশী দেশ ভারত এক নম্বরে, যে তালিকায় বাংলাদেশ নেই। তারা নির্দিষ্ট পরিকল্পনা বাস্তবায়ের মাধ্যমে এ অবস্থায় এসেছে। এদেশেও দুধ, ডিম ও মাংসের উৎপাদন কয়েকগুণ বাড়ানোর জন্য এলডিডিপি প্রজেক্টের মাধ্যমে কাজ চলছে।
বর্তমানে দুধ থেকে তৈরি পণ্যের প্রক্রিয়াজাতকরণে বাড়তি গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে তিনি জানান, বৈশ্বিক চাহিদার মাত্র ৪ শতাংশ দুধ উৎপাদন করে নিউজিল্যান্ড। কিন্তু দেশটি দুধ থেকে তৈরি পণ্যের বাজারে ৪০ শতাংশ সরবরাহকারী। আমরাও এখন বিশেষায়িত দুদ্ধজাত পণ্য তৈরিতে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া শুরু করেছি, যাতে করে ভ্যালু অ্যাডিশন বাড়ানো সম্ভব হয়।