হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড নিতে অনীহা সিঙ্গাপুরের
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পর আলোচনায় থাকা হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড নেওয়ার বিষয়ে অনীহা প্রকাশ করেছে সিঙ্গাপুর কার্গো ইয়ার্ড কর্তৃপক্ষ।
নিরাপত্তা ও ইয়ার্ডের ধারণক্ষমতা ছাড়িয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ থেকে হাইড্রোজেন পারঅক্সাইডের চালান সীমিত করার নির্দেশনা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ আরিফ দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "গত ৯ জুনের একটি চিঠি আমাদের নজরে এসেছে। মূলত বাংলাদেশ থেকে এসব কনটেইনারে করে সিঙ্গাপুর ইয়ার্ডে রাখা হয়। এরপর সেখান থেকে মাদারভেসেলে করে মূল গন্তব্যে যায়।"
সিঙ্গাপুর পুলিশ ফোর্স (এসপিএফ) হাইড্রোজেন পারঅক্সাইডকে বিস্ফোরক দ্রব্য হিসেবে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এসপিএফের লাইসেন্স মোতাবেক পিএসএতে এ পণ্যটি মজুতের একটি নির্দিষ্ট সীমা রয়েছে। তারা বলছে, হঠাৎ সরবরাহ বেড়ে যাওয়ার ফলে বন্দরে পণ্যটির মজুত বেড়ে গেছে। তাই হাইড্রোজেন পারঅক্সাইডের চালান সীমিত আকারে হ্যান্ডলিং করবে সিঙ্গাপুর পোর্ট, উল্লেখ করেন তিনি।
মোহাম্মদ আরিফ আরো বলেন, "আমরা জেনেছি চট্টগ্রামে আরো চারটি বেসরকারি আইসিডিতে রপ্তানির লক্ষ্যে শতাধিক কনটেইনার হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড রয়েছে। শিল্পের কাঁচামাল হওয়ায় হাইড্রোজেন পারঅক্সাইডের আমদানি-রপ্তানি বন্ধ হবে না। কিন্তু বিস্ফোরণের পর বিষয়টি নিয়ে এক ধরণের আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।"
সাময়িকভাবে মেইন লাইন অপারেটরের বিভিন্ন জাহাজের ক্যাপ্টেন, পোর্ট কর্তৃপক্ষ পণ্যটি বহন করতে চাচ্ছেন না বলে জানান তিনি। বিষয়টির দ্রুত সমাধান হবে বলে আশা করেন মোহাম্মদ আরিফ।
এর আগে গত শনিবার (৪ জুন) সংঘটিত অগ্নিকাণ্ডে ফায়ার সার্ভিস কর্মীসহ এ পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া দুই শতাধিক মানুষ আহত হয়ে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
মূলত ওই ডিপোতে থাকা হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড থেকে বিস্ফোরণের সূত্রপাত হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। এরপর থেকে এই রাসায়নিক পণ্যটি আলোচনায় আসে।