মুহিবুল্লাহ হত্যা: আরসা’র প্রধানসহ ৭ জনের নাম চার্জশিট থেকে বাদ
রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যায় ২৯ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ।
আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) প্রধান আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনী মুহিবুল্লাহকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন। স্থানীয়ভাবে আল-ইয়াকিন নামে পরিচিত তিনি।
মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের পক্ষের সচেতনতা সৃষ্টি, ক্যাম্পের ভেতর অনিয়ম ও অপরাধ নিয়ে সোচ্চার হওয়ায় আরসার ৩৬ জন সদস্য এই হত্যাকাণ্ড চালায়।
কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম জানিয়েছেন, এ হত্যাকাণ্ডে ৩৬ জনকে জড়িত হিসেবে শনাক্ত করা হলেও ৭ জনের ঠিকানা-অবস্থান শনাক্ত করতে পারেনি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ কারণে বাকিদের নাম বাদ দিয়ে ২৯ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে।
অভিযুক্তদের মধ্যে ১৫ জন বর্তমানে কারাগারে রয়েছে। বাকি ১৪ জন এখনো পলাতক।
তিনি বলেন, অভিযোগপত্রে ৩৮ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। যার মধ্যে ৩ জন সাক্ষী ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
২০২১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে উখিয়ার লম্বাশিয়া ডি ব্লকে আরকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস (এআরএসপিএইচ) সংগঠনের কার্যালয়ে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত হন মুহিবুল্লাহ। তিনি ওই সংগঠনের চেয়ারম্যান ছিলেন।
৩০ সেপ্টেম্বর মুহিববুল্লাহর ছোট ভাই হাবিবুল্লাহ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্ত ভার পান উখিয়া থানার ওসি তদন্ত সালাহ উদ্দিন। তদন্ত শেষে সোমবার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হয়।
আদালত সূত্র জানিয়েছে, গ্রেপ্তার ১৫ জনের মধ্যে ৪ জন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। একই সঙ্গে ৩ জন সাক্ষীও ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।