কুমিল্লা সিটি নির্বাচনের ফল ঘোষণায় দেরির কারণ সমর্থকদের দ্বন্দ্ব: ইসি
নির্বাচন কমিশন (ইসি) বলছে, দুই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী র্প্রাথীর সমর্থকদের মধ্যে বিশৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি হওয়ায় ২০ মিনিট দেরিতে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
রোববার (১৯ জুন) এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে নির্বাচন কমিশন বলছে, দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে হঠাৎ করে উত্তেজনা, স্লোগান-পাল্টা স্লোগান ও হাতাহাতি শুরু হয়, এতে রিটার্নিং অফিসার নির্বিঘ্নে চূড়ান্ত ফল প্রকাশে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছিলেন। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়।
নির্বাচন কমিশন বলছে, কোনো কোনো পত্র-পত্রিকার নিবন্ধ এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যকে বক্তারা এই সময়কে এক বা দেড় ঘণ্টার বিলম্ব বলে রহস্য, অঘটন ইত্যাদির ইঙ্গিত করার চেষ্টা করেছেন।
তবে চূড়ান্ত ফল প্রকাশে কম-বেশি ১৫-২০ মিনিট দেরি হয়েছিল বলে দাবি কমিশনের।
মাত্র ৩৪৩ ভোটে পরাজিত প্রার্থী জনাব মনিরুল হক সাক্কুর পক্ষে জনৈক ব্যক্তি ফলাফল ঘোষণার চূড়ান্ত পর্যায়ে একটি টেলিফোন কলে ফলাফল পাল্টে দেয়া হয়েছে মর্মে বক্তব্য দিয়েছেন।
এ বক্তব্যকে জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করে অনাকাঙ্ক্ষিত বিতর্ক সৃষ্টির অপপ্রয়াস আখ্যা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
"ফলাফল প্রকাশের শেষ পর্যায়ে ইভিএমে ধারণকৃত ফলাফল পাল্টে দেয়া কোনোভাবেই সম্ভব নয়। প্রসঙ্গত উল্লখ্যে যে, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ১০৫ টি কেন্দ্রের ফলাফল কেন্দ্রেই ঘোষণা করা হয়েছে এবং কেন্দ্রভিত্তিক ইভিএম থেকে মুদ্রিত ফলাফল এবং প্রার্থীদের এজেন্ট এবং প্রিজাইডিং অফিসারগণ কর্তৃক স্বাক্ষরিত ফলাফলের সকল কপি প্রার্থীদের এজেন্টগণকে সরবরাহ করা হয়েছে", বিজ্ঞপ্তিতে বলে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচনকে নির্বিঘ্ন ও স্বচ্ছ করতে প্রথমবারের মত প্রতিটি কেন্দ্রে সিসিটিভি ব্যবহার করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়। নির্বাচন পর্যবেক্ষক ও গণমাধ্যমের সংবাদকর্মীদের তথ্য ধারণ ও পরিবেশনের জন্য অবাধ সুযোগ দেয়া হয়েছে। নির্বাচন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে, সহিংসতার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি বলেও উল্লেখ করা হয়।