জনশুমারির তথ্য সংগ্রহের সময় বাড়ল ২৮ জুন পর্যন্ত
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ হচ্ছে না চলমান জনশুমারি ও গৃহগণনা প্রকল্পের আওতায় জনসংখ্যার তথ্য সংগ্রহের মূল কাজ। ফলে বন্যা কবলিত চার জেলা- সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও নেত্রকোনায় তথ্য সংগ্রহের সময়সীমা আরও এক সপ্তাহ বাড়িয়ে ২৮ জুন করা হয়েছে।
জনশুমারি প্রকল্পের পরিচালক মোহাম্মদ দিলদার হোসেন জানান, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় তথ্য সংগ্রহ এখনই শেষ হচ্ছে না। তাই আগামী ২৮ জুন পর্যন্ত কাজ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
গতকাল পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এবং প্রকল্পের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
প্রতি ১০ বছর অন্তর জনসংখ্যার তথ্য সংগ্রহে বাধ্যবাধকতার অংশ হিসেবে গত বছর দেশের সব মানুষকে গণনার আওতায় আনতে ২০১৯ সালে নেয়া হয়েছিল জনশুমারি ও গৃহগণনা প্রকল্প।
এর আওতায় গত বছর তথ্য সংগ্রহে চার দফায় নির্ধারিত দিনক্ষণ পরিবর্তন হলেও ট্যাব কেনা ও সংগ্রহে জটিলতার কারণে তা আর সম্ভব হয়নি।
ট্যাব সংগ্রহের জটিলতার অবসান হলে চলতি বছরের ১৫-২১ জুন তারিখের মধ্যে তথ্য সংগ্রহের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বর্ষায় তথ্য সংগ্রহ বিঘ্নিত হলে জনসংখ্যার প্রকৃত তথ্য পাওয়া যাবে না মর্মে পরিসংখ্যানবিদদের পক্ষ থেকে আশঙ্কার কথা জানানো হয়েছিল।
সিলেট বিভাগের বিভিন্ন জেলায় শুমারি সমন্বয়ের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা জানান, ১৫ তারিখ তথ্য সংগ্রহে কোন সমস্যা না হলেও এর পরদিন দুপুর থেকেই বিভিন্ন এলাকায় পানি বাড়তে থাকায় তথ্য সংগ্রহ বিঘ্নিত হয়।
শুক্রবারেও কোথাও হাটুপানি আর কোথাও কোমরপানি মাড়িয়ে তথ্য সংগ্রহ করেন কর্মীরা। এর পরের দিন সিলেটের বিভিন্ন এলাকা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি বিদ্যুতের সংযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় তথ্য সংগ্রহ কার্যত বন্ধ থাকে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান গবেষণা ও শিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (আইএসআরটি) অধ্যাপক ডাঃ সৈয়দ শাহাদাত হোসেন টিবিএসকে বলেন, "প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে জনসংখ্যার তথ্য সংগ্রহের কার্যক্রম বিঘ্নিত হয়েছে। দুর্যোগের কারণে মানুষের মাঝে তথ্য দেয়ার আগ্রহও হয়তো কম থাকবে। আবার অনেকেই নিজেদের এলাকা ত্যাগ করায় হয়ত কিছু মানুষের তথ্য আর পাওয়াই যাবে না।"