অতিসংকটজনক সৌমিত্র, সাড়া দিচ্ছে না মস্তিষ্ক, ঠিকমতো কাজ করছে না হার্টও: চিকিৎসক
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি, খবর বেলেভিউ হাসপাতাল সূত্রে। বর্ষীয়ান অভিনেতা আপতত সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতিতে রয়েছেন, কাজ করা প্রায় বন্ধ করে দিয়েছে মস্তিষ্ক, জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
গত ৫ অক্টোবর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসার পরের দিন দক্ষিণ কলকাতা লাগোয়া বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ভারতীয় বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। এরপর কেটে গেছে একমাসেরও বেশি সময়, জানা যাচ্ছে ভর্তির পর থেকে শুক্রবারই (১৩ নভেম্বর) তার পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ পর্যায়ে পৌঁছেছে।
গত মাসের শেষ থেকেই ভেন্টিলেশন সাপোর্টে রয়েছেন এই প্রবীণ অভিনেতা। শুধু মস্তিষ্কই নই, ঠিকভাবে কাজ করছে না তার হার্ট; কিডনির পরিস্থিতিও খুব একটা আশাজনক নয়। এই প্রথম অভিনেতার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে আলাদা সাপোর্ট ব্যবহার করতে হচ্ছে। অভিনেতার হার্ট রেট অনেকখানি বেড়ে গেছে।
চিকিৎসরা জানাচ্ছেন, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের ইইজি রিপোর্টে ব্রেনের খব কম কাজ ধরা পড়েছে। তার মস্তিষ্কের স্নায়ুর সচেতনতা অর্থাৎ গ্লাসগো কোমা স্কেলে সূচক নেমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৫-এ। তার শরীরে অক্সিজেনের চাহিদাও আগের থেকে অনেকখানি বেড়েছে।
সৌমিত্রের চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা মেডিক্যাল বোর্ডের প্রধান অরিন্দম কর জানিয়েছেন, 'সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের কিডনি ভালোমতো কাজ করছে না, ওনার ডায়ালিসিস করা হচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় পরিস্থিতি খুব খারাপের দিকে যেতে পারে। প্রথমবার আমরা প্রতিকূল ফলাফলের আশঙ্কা করছি। আমরা সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করছি, কিন্তু আমাদের সেরাটা হয়তো ওনার শরীরের পক্ষে যথেষ্ট হচ্ছে না।'
খবর, বৃহস্পতিবারের 'প্রথম দফার' প্লাজমাফেরেসিস (প্লাজমা থেরাপি)-এর ফলে অভিনেতার শরীরে কোনোরকম উন্নতি হয়নি। এর আগে বুধবার তার শ্বাসনালিতে অস্ত্রোপচার বা ট্রাকিওস্টমি করা হয়েছিল। সেই প্রক্রিয়ায় অস্ত্রোপচার করে শ্বাসনালীতে (ট্রাকিয়া) ট্রাকিওস্টোমি টিউব স্থাপন করা হয়ে থাকে। যাতে নাক-মুখের বদলে গলায় থাকা ওই টিউবের মুক্ত প্রান্তের মধ্য দিয়ে শ্বাসপ্রশ্বাস হয়।
সেই অস্ত্রোপচারের পর হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছিল, পুরোপুরি সফলভাবেই প্রবীণ অভিনেতার শ্বাসনালিতে অস্ত্রোপচার হয়েছে।
- নোট: শিরোনাম, ভাষা ও বাক্য বিন্যাস কিঞ্চিৎ পরিমার্জিত