পান্তা ভাতে যেভাবে ‘চ্যাম্পিয়ন’ কিশোয়ার!
রান্নার জনপ্রিয় প্রতিযোগিতা 'মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়া'র ১৩তম আসরে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কিশোয়ার চৌধুরী তিন মাস লড়াই করে ২৪ জনের মধ্যে চূড়ান্ত পর্বে পৌঁছেছিলেন। গ্র্যান্ড ফিনালেতে সবাইকে চমকে দিয়ে তিনি উপস্থাপন করেন পান্তা ভাত, আলু ভর্তা ও মাছ ভাজা।
এ ঘটনায় একইসঙ্গে অবাক ও উচ্ছ্বসিত হন বিচারক ও সাধারণ দর্শকরা। বাঙালিদের ভেতর সেই উচ্ছ্বাস আলাদা আবেগ সঞ্চার করে।
যদিও আসরে তৃতীয় হয়েছেন কিশোয়ার, তবু তার সাহসের প্রশংসা ছড়িয়ে পড়ে সবখানে।
এই প্রতিযোগিতার শুরুতেই দুই সন্তানের জননী ৩৮ বছর বয়সী এই নারী জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশি খাবারকে বিশ্বের খাদ্য-মানচিত্রে জায়গা করে দেওয়াই তার লক্ষ্য। এ নিয়ে বই লেখারও ইচ্ছে প্রকাশ করেন তিনি।
শুধু গ্র্যান্ড ফিনালেতেই নয়, পুরো প্রতিযোগিতার বহু পর্বেই নানা রকম মাছের ঝোল, খিচুড়ি, বেগুনের ভর্তা ও ফুচকার মতো নানা বাঙালি পদ তিনি উপস্থাপন করেন তিনি। একদম শুরুতে তৈরি করেছিলেন আম দিয়ে মাছের ঝোল এবং বিটের সঙ্গে বেগুনের ভর্তা।
কিশোয়ারের রান্না খেয়ে বিচারক অ্যান্ডি খুশি হয়ে জানতে চেয়েছিলেন, 'এতদিন কোথায় ছিলেন?' আবেগপ্রবণ কিশোয়ার বলেছিলেন, 'স্রেফ নিজ বাড়িতে!'
পান্তা ভাত বাঙালির চিরচেনা খাবার। এমন খাবার আন্তর্জাতিক রান্নার প্রতিযোগিতায় জায়গা করে নিতে পারে, তা বেশ গর্বের সঙ্গে দুনিয়াকে জানিয়ে আবেগপ্রবণ বাঙালিদের মনের মণিকোঠায় জায়গা করে নিয়েছেন কিশোয়ার চৌধুরী। তাই প্রতিযোগিতায় তৃতীয় হলেও অনেকের কাছে তিনিই প্রকৃত চ্যাম্পিয়ন।
-
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা