পুলিশি জেরায় কান্নায় ভেঙে পড়েন শিল্পা, চিৎকার করে ওঠেন রাজের ওপর
রাজ কুন্দ্রার গ্রেপ্তারি ও পর্নোগ্রাফি মামলায় বলিউড অভিনেত্রী তথা রাজ-পত্নী শিল্পা শেঠিকে জেরা করেছে মুম্বাই পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে পূলিশ সূত্র জানিয়েছে, জেরার মুখে কান্নায় ভেঙে পড়েন শিল্পা। রাজ কুন্দ্রার ব্যবসার সঙ্গে শিল্পা যুক্তি কিনা সেই বিষয় অভিনেত্রীর সাফ কথা, এই বিষয়ে কিছু জানতেন না তিনি।
বলিউড অভিনেত্রী শিল্পা শেঠির স্বামী রাজ কুন্দ্রাকে পর্নকাণ্ডে গত ১৯ জুলাই রাতে গ্রেপ্তার করে মুম্বাই পুলিশ। তিনি 'হটশটস' নামে একটি অ্যাপের মাধ্যমে অশ্লীল ভিডিও তৈরি এবং স্ট্রিমিংয়ের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ।
রাজ কুন্দ্রার গ্রেপ্তারির পর পর্নকাণ্ডে শিল্পা শেঠিকেও জিজ্ঞাসাবাদ করে মুম্বাই ক্রাইম ব্রাঞ্চ। রেইড করা হয় রাজ-শিল্পার জুহুর বিলাসবহুল বাংলো। সূত্রের খবর, 'জিজ্ঞাসাবাদের সময় কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন শিল্পা। রাজ এবং শিল্পার মধ্যে খুব বড় বাকবিতণ্ডা হয় সেই সময়। শিল্পা চিৎকার করে তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, এই জাতীয় কাজ করার প্রয়োজন কী এবং তিনি কেন এসব করেছেন। অভিনেত্রীকে শান্ত করার জন্য অপরাধ দমন শাখাকে শেষ পর্যন্ত হস্তক্ষেপ করতে হয়েছিল'।
সূত্র জানিয়েছে, শিল্পা রাজের মুখোমুখি হয়ে তাকে বলেন, এই কর্মের ফলে শুধুমাত্র পরিবারের নামই নষ্ট করেনি, পাশাপাশি অনুমোদনের বাতিল এবং আর্থিক ক্ষয়ক্ষতিও করছে।
মুম্বাই পুলিশ সূত্রে খবর, 'শিল্পা রাজকে প্রশ্ন করেন, সমাজে তাদের একটা নাম রয়েছে। এরপরেও এই জাতীয় কাজ করার কী কোনও দরকার ছিল?'
সূত্র মারফত, মার্চে পর্নকাণ্ডে ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তখন নিজের গ্রেপ্তারির আঁচ পেয়ে যান রাজ। তাদের কথায়, 'মার্চেই নিজের ফোন পরিবর্তন করেন রাজ। ফলে তার ফোন থেকে সমস্ত তথ্য মেলেনি। যখন ক্রাইম ব্রাঞ্চের কর্তারা তার কাছে পুরনো ফোনের খোঁজ করেন, তিনি জানিয়েছেন সেটাকে ফেলে দিয়েছেন। পুলিশের বিশ্বাস পুরানো ফোনটিতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ রয়েছে এবং সেটার অনুসন্ধান চলছে'।
অপরাধ শাখা কর্তৃক নিযুক্ত একজন আর্থিক অডিটর রাজ ও শিল্পার আর্থিক তহবিলের দিকটি তদন্ত করছে। সূত্রের খবর, 'তদন্তে উঠে এসেছে শিল্পা শেঠি এবং রাজ কুন্দ্রার যৌথ অ্যাকাউন্ট থেকে কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। ক্রাইম ব্রাঞ্চের সন্দেহ 'হটশটস' এবং 'বলি ফেম' অ্যাপ থেকে উপার্জিত টাকা এই অ্যাকাউন্টে আসত'।
প্রসঙ্গত, পর্নকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত হিসেবে রাজ কুন্দ্রার নাম দিয়েছে মুম্বাই পুলিশ। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির ৪২০ ধারা (প্রতারণা), ৩৪ (স্বপ্রণোদিত), ২৯২ এবং ২৯৩ (অশ্লীল ছবি ও অশালীন বিজ্ঞাপন তৈরি এবং তা প্রচার) ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। আইটি আইন এবং ইনডেন্ট রিপ্রেজেন্টেশন অব উইমেন (নিষিদ্ধ) আইনের অধীনেও অভিযুক্ত তিনি।