মীরাক্কেলে দ্বিতীয় রানার আপ বাংলাদেশি তৌফিক
ভারতের টিভি চ্যানেল জি বাংলা আয়োজিত জোকস রিয়েলিটি শো মীরাক্কেল আক্কেল চ্যালেঞ্জার সিজন ১০-এ রানার আপ হয়েছেন বাংলাদেশের প্রতিযোগী মো. তৌফিক এলাহী আনছারী উচ্ছ্বাস।
গতকাল রোববার রাতে প্রচারিত হয় গ্রান্ড ফিনালের দ্বিতীয় এপিসোড। সেখানেই চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করা হয়।
দ্বিতীয় রানার আপ হিসেবে তৌফিকের নাম ঘোষণা করেন অনুষ্ঠানের জনপ্রিয় উপস্থাপক মীর আফসার আলী। তার সঙ্গে যৌথভাবে দ্বিতীয় রানার আপ হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের প্রতিযোগী পার্থ সারথী বটচ্যাল।
প্রথম রানার আপ হয়েছেন সিধু হেস ও রোশনি। আর চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন প্রতিযোগিতার ডুয়েট পারফরমার শুভজিৎ-শান্তনু।
রংপুরের ছেলে তৌফিক কদিন আগে কলকাতা থেকে দেশে ফিরেছেন। এখন কুষ্টিয়াতে আছেন কোয়ারিন্টেনে। সেখান থেকে ফাইনালের পরপরই দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে জানান তার অনুভূতি। বলেন, 'আমি ভাবিনি ফাইনালে অংশ নিতে পারব। প্রতিযোগিতা চলাকালীন সময়ে মার্চের শেষ দিকে ঢাকায় আসি। এরমধ্যে লকডাউন শুরু হয়ে যায়। ফাইনালের কথা শুনে গত ১৩ এপ্রিল লকডাউনের মধ্যে অনেক ঝক্কি-ঝামেলা পেরিয়ে কলকাতায় যাই। তারপর ফাইনালে জন্য প্রস্তুতি নিই।'
'ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয় ১২ মে। তারপর থেকে কলকাতাতেই আটকে থাকি প্রায় ১৫ দিন,' বলেন তিনি।
তৌফিক আরও বলেন, 'এবারের প্রতিযোগিতা ও ফাইনাল অবধি যাওয়াটা আমার জন্য অনেক বড় চ্যালেঞ্জ ও প্রাপ্তি। এতদূর আসার পেছনে আমার পরিবার যেমন সহযোগিতা করেছে, পাশাপাশি মীরাক্কেলের পুরো টিম, বিশেষ করে অনুষ্ঠান প্রধান শুভঙ্কর চট্টোপাধ্যায়, বিচারক, উপস্থাপক মীর এবং আমার মেন্টররা সহযোগিতা করেছেন। আমি তাদের কাছে অনেক ঋণী।'
রংপুর কমিউনিটি মেডিকেল কলেজের এমবিবিএসের ছাত্র তৌফিক জোকস নিয়ে এর আগে কখনোই কোনো প্রতিযোগিতায় অংশ নেননি। মীরাক্কেল তার প্রথম কোনো প্রতিযোগিতা। এজন্য নিজের বাবার কাছে ঋণী বলে জানান তিনি।
তৌফিক বলেন, 'আমার বাবা খুবই কৌতুকপ্রিয় মানুষ। তিনি সবসময় পারিবারিক আড্ডায় নানা জোকস বলে মাতিয়ে রাখেন। মীরাক্কেলে বলা অনেক জোকসই বাবার কাছ থেকে শেখা। অনেকেই পারিবারিক আবহে নাচ গান শেখে, আর আমি জোকস শিখেছি।'
মীরাক্কেল আক্কেল চ্যালেঞ্জার অনুষ্ঠানটি ভারতের টিভি চ্যানেল জি বাংলায় প্রচারিত হলেও বাংলাদেশেও বেশ জনপ্রিয়। গত কয়েকটি সিজন থেকেই বাংলাদেশের প্রতিযোগিতার নিয়মিত অংশ নিচ্ছেন এই রিয়েলিটি শোতে। এ বছর নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও চার বাংলাদেশি অংশ নেন। একজন বাদ পড়লেও তিনজন ছিলেন ফাইনালিস্ট। কিন্তু করোনাভাইরাস বাস্তবতার কারণে আবিদুল ইসলাম রিমন ও আফনান আহমেদ রাশেদ ফাইনালের আগে কলকাতায় পৌঁছতে পারেননি।
তবে ফাইনালের মঞ্চে ভিডিওতে জানিয়েছেন নিজেদের অনুভূতি।