২৩তম জাতীয় চারুকলা প্রদর্শনী সমাপ্ত
শেষ হয়ে গেল ২৩তম জাতীয় চারুকলা প্রদর্শনী। রবিবার (২১ জুলাই) সন্ধ্যায় একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে প্রদর্শনীর সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সমাপনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী এর সভাপতিত্বে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের অধ্যাপক মোস্তাফিজুল হক।
অনুষ্ঠানে সমাপনী পর্যালোচনা উপস্থাপন করেন শিল্পী মোস্তফা জামান ও শিল্পী শাওন আকন্দ।
আলোচনা শেষে অংশগ্রহণকারী সবাইকে সনদপত্র প্রদান করা হয়।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত জাতীয় চারুকলা প্রদর্শনী দেশের চারুশিল্পের বৃহত্তম উৎসব।
১৯৭৪ সালে সমকালীন চিত্রকলা প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে শিল্পকলা একাডেমির চারুকলা বিষয়ক কর্মকাণ্ড শুরু হয়। এ কর্মকাণ্ডের সূত্র ধরে ১৯৭৫ সালে শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে জাতীয় চারুকলা প্রদর্শনীর যাত্রা শুরু।
প্রতি দুই বছর পর পর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে এ প্রদর্শনী আয়োজিত হয়। উক্ত আয়োজনের ধারাবাহিকতায় শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে ১ জুলাই ২০১৯ শুরু হয় ২৩তম জাতীয় চারুকলা প্রদর্শনী শুরু হয়।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্ঠা এইচ টি ইমাম প্রদর্শনীর শুভ উদ্বোধন ও বিজয়ী শিল্পীদের পুরস্কার প্রদান করেন।
জাতীয় চিত্রশালায় আয়োজিত এবারের এই প্রদর্শনীতে ৩১০ জন শিল্পীর ৩২২ টি শিল্পকর্ম স্থান পায়।
৮টি পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় বিজয়ী শিল্পীদের হাতে। এর মধ্যে শ্রেষ্ঠ শিল্পকর্মের জন্য ২ লাখ টাকার পান একজন শিল্পী। এ ছাড়া চারটি বিভাগীয় চিত্রকলা, ভাস্কর্য, ছাপচিত্র, নিউ মিডিয়া সম্মানসূচক পুরস্কার প্রদান করা হয়, যার আর্থিক মূল্যমান এক লাখ টাকা। এ ছাড়াও ছিল ১ লাখ টাকা অর্থমূল্যের বেঙ্গল ফাউন্ডেশন পুরস্কার, ২০ হাজার টাকা মূল্যমানের দীপা হক পুরস্কার ও ৫০ হাজার টাকার মূল্যের চিত্রশিল্পী কাজী আলোয়ার হোসেন পুরস্কার।