সালমানকে হত্যার ছক কষে রেখেছিল মুসেওয়ালার হত্যাকারীরা
গত ২৯শে মে পাঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসেওয়ালাকে একে-৪৭ থেকে ৩০ রাউন্ড গুলি চালিয়ে মেরে ফেলা হয়। সেই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের রেশ এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি ভারত। এর মাঝেই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এল। সিধু মুসেওয়ালেকে হত্যার অন্যতম অভিযুক্ত ছক কষেছিল বলিউড সুপারস্টার সালমান খানকেও একই কায়দায় হত্যা করার। এজন্য মুম্বাইয়ে গিয়ে রেকি পর্যন্ত করে এসেছিল সে, এমনটাই জানিয়েছেন পাঞ্জাব পুলিশের এক শীর্ষ কর্মকর্তা।
শনিবার নেপাল পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয় মুসেওয়ালা হত্যার অন্যতম অভিযুক্ত দীপক মুন্ডি এবং তার দুই সহযোগী কপিল পণ্ডিত এবং রাজিন্দর। পশ্চিমবঙ্গ-নেপাল বর্ডার থেকে গ্রেপ্তার হন এই তিনজন।
পুলিশ জানিয়েছে, সালমান খানকে হত্যার ছক তৈরি করতে মুম্বাই হাজির হয়েছিল গ্রেপ্তার হওয়া কপিল পণ্ডিত। সবটাই ঘটেছে লরেন্স বিষ্ণোইয়ের নির্দেশে। মুসেওয়ালা হত্যায় অভিযুক্ত অন্যদেরও জেরা করা হবে সালমান খানকে হত্যার পরিকল্পনার ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য পেতে।
প্রসঙ্গত, গত জুন মাসে সালমান খান ও তার পিতা সেলিম খানকে প্রাণে মারার হুমকি চিঠি দেওয়া হয়েছিল। প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়েছিলেন সেলিম খান। সেই সময়ই গেইটি গ্যালাক্সি (সালমানের আবাসন)-এর কাছের এক পার্কের বেঞ্চে পড়েছিল সেই বেনামি চিঠিখানা। যা খুঁজে পায় সালমান খানের বাড়ির নিরাপত্তারক্ষীরা। তারপর সেটি তুলে দেওয়া হয় মুম্বাই পুলিশের হাতে। সেই চিঠিতে সালমানের উদ্দেশে লেখা ছিল, 'তোমার পরিণতিও হবে মুসেওয়ালার মতোই'।
শুধু তাই নয়, সালমানের আইনজীবীকেও একইভাবে প্রাণে মারার উড়ো চিঠি দেওয়া হয়। কৃষ্ণসার হত্যা মামলার অভিযুক্ত সালমান লরেন্স বিষ্ণোইয়ের দীর্ঘদিনের টার্গেট। ২০১৮ সালে তিহার জেলে বন্দি এই আসামি ক্যামেরার সামনে সালমানকে প্রাণে মেরে ফেলার কথা বলেছিলেন। জুন মাসে হুমকি চিঠি পাবার পর থেকেই মুম্বাই পুলিশের পক্ষ থেকে জোরদার করা হয়েছে 'ভাইজানে'র নিরাপত্তা।