বয়কট সংস্কৃতি অনলাইনের হুজুগ, দক্ষিণ ভারতে এসব নেই: দাবি দুলকার সালমানের
'সীতা রামাম'-এর ব্যাপক সাফল্যের পর, পরবর্তী হিন্দি ছবি 'চুপ' মুক্তির অপেক্ষায় দক্ষিণী অভিনেতা দুলকার সালমান। কারওয়ান এবং দ্য জোয়া ফ্যাক্টর-এর পর আর বালকি পরিচালিত এই সিনেমা দুলকারের অভিনীত তৃতীয় হিন্দি চলচ্চিত্র। কিন্তু সম্প্রতি হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে বয়কট সংস্কৃতি বেড়ে যাওয়ায় তোপের মুখে আছেন বলিউডের নামজাদা অভিনেতারাও। বক্স অফিসের সাফল্য অনেকটাই যেন নির্ভর করছে এর উপর। সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে দুলকারকে এ নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, দক্ষিণ ভারতে বয়কট প্রবণতা দেখেননি তিনি। কেবল বলিউডেই এই সংস্কৃতির এত বাড়াবাড়ি।
দুলকার সালমানের ভাষ্যে, "অনলাইনে জগতের প্রভাবেই বয়কটের প্রবণতা বেড়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় যে কেউ যেকোনো কিছু লিখতে পারে। দায়িত্বজ্ঞানহীন লোকেরা যেকোনো দাবি তুলে সমস্যা তৈরি করতে পারে। ব্যাপারটা হুজুগের মতো হয়ে গিয়েছে। কিন্তু দক্ষিণে এই বাতিল করে দেওয়ার সংস্কৃতির অস্তিত্ব নেই। আমি বলিউডে এটা প্রথম শুনেছি।"
দক্ষিণে 'সীতা রামাম'-এর সাম্প্রতিক সাফল্যের কারণে নির্মাতারা ছবিটি হিন্দিতে ডাব করে মুক্তির ব্যবস্থা করেছেন। ওটিটি প্ল্যাটফর্মেও ছবিটি ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে। দুলকার সালমান নিজেও বিভিন্ন ভাষার চলচ্চিত্রে কাজ করেন। তাই তাকে সর্বভারতীয় বা প্যান-ইন্ডিয়ান ছবি করার পরিকল্পনা নিয়ে জিজ্ঞাসা করেছিল এক সংবাদমাধ্যম।
এর জবাবে অভিনেতা বলেন, "আমি অনেক প্রস্তাব পাই কিন্তু ওসব প্যান-ইন্ডিয়ার ধারণা বুঝি না। আমার মত, যেকোনো গল্পই সবার জন্য। যেমন আমার সাম্প্রতিক একটা সিনেমা সেনাবাহিনীর এক সৈনিকের প্রেমের গল্প নিয়ে। আপনি সেই গল্প যেকোনো জায়গায় দাঁড়িয়ে বলতে পারেন। কিন্তু এক্ষেত্রে প্যান-ইন্ডিয়া শব্দটির ব্যবহার আমার অদ্ভুত লাগছে।"
'চার্লি' অভিনেতার দাবি, "যখন কোনোকিছুর অতিরিক্ত ব্যবহার হয়, আমরা তা শুনতে শুনতে ক্লান্ত হয়ে যাই। এখন আমি এই 'প্যান-ইন্ডিয়া' শব্দটি ছাড়া একটিও প্রতিবেদন বা সাক্ষাৎকার দেখি না। আমি মনে করি না, এটা কোনো নতুন ধারণা। অমিতাভ বচ্চন, রজনীকান্ত এবং শাহরুখ খানের মতো তারকাদের ছবি অনেক আগেই স্থান-কাল-ভাষার গণ্ডি ছাড়িয়ে গিয়েছে। তাই জোর করে কোনো ছবিকে 'প্যান-ইন্ডিয়া'র তকমা দেওয়া বোকামি।"
আর বাল্কি পরিচালিত 'চুপ'-এ দুলকার ছাড়াও অভিনয় করেছেন সানি দেওল ও পূজা ভাট।
সূত্র: পিংকভিলা