জীবনে প্রথম ৩০০ রুপি উপার্জন করেছিলেন রাজকুমার রাও
২০১০ সালে বলিউডে অভিষেক হয় রাজকুমার রাওয়ের। তারপর প্রায় এক দশক কাটিয়ে ফেলেছেন এই ইন্ডাস্ট্রিতে। বলা যায়, বলিউডের সেরা দশ অভিনেতার তালিকায় নিজের জায়গা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন তিনি।
গুরুগ্রামের এক মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে এসে বলিউডে নিজের জায়গা পাকাপোক্ত করাটা খুব সোজা ছিল না। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জীবনের প্রথম উপার্জনের কথা বলেন রাজকুমার।
আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, রাজকুমারের জন্ম ও বড় হয়ে ওঠা উভয়ই উত্তর ভারতের হরিয়ানার গুরুগ্রামে। বাবা সরকারী কর্মচারী। সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে। ছোটবেলা থেকে মার্শাল আর্ট ও তাইকোয়ান্দো শিখতেন। এমনকি স্বর্ণপদকও পেয়েছেন। স্কুলে পড়ার সময় থেকেই অভিনেতার নাচের প্রতি ঝোঁক বাড়তে থাকে। নাচের প্রশিক্ষণ নিতেন। শুধু তাই নয়, তিনি পরে নাচ শেখাতেও শুরু করেন।
এই নাচের শিক্ষক হয়েই জীবন প্রথম উপার্জন করেন। অষ্টম শ্রেণিতে পড়াকালীন শিশুদের নাচের টিউশন দিয়ে ৩০০ রুপি আয় করেন অভিনেতা। সম্প্রতি নেটফ্লিক্সে কৌতুকশিল্পী জাকির খানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেই কথা জানান অভিনেতা।
প্রথম উপার্জনের টাকা দিয়ে কী করেছিলেন রাজকুমার জানেন?
অভিনেতার কথায়, তিনি ওই ৩০০ রুপি দিয়ে বাড়ির জন্য মুদিখানার জিনিস যেমন চাল, ডাল, চিনি কিনে বাড়ি ফেরেন। বাকি টাকা নিজের মায়ের হাতে দেন। রাজকুমার বলেন, ''ওই টাকা দিয়ে অন্য কোনও উপহারও দিতে পারতাম, কিন্তু যখন মায়ের হাতে টাকাটা দিলাম সেই অনুভূতিটাই আলাদা।''
'রণ' ছবিতে ছোট একটা চরিত্রে অভিনয় সেই শুরু। তারপর তিনি মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেন 'লাভ সেক্স অওর ধোঁকা' ছবিতে। তারপর 'শাহিদ'। এই ছবির জন্য ভারতের জাতীয় পুরস্কারও পান রাজকুমার। তত দিন পর্যন্ত সমান্তরাল ছবির অভিনেতাই ভাবা হচ্ছিল তাকে। তবে 'কাই পো চে', 'বারেলি কি বরফি'-র মতো ছবি তাকে বাণিজ্যিক নায়ক হিসেবে পরিচিতি দেয়।