বাবার আপত্তিতেই প্রেমনাথ ও দিলীপ কুমারের সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙে মধুবালার
১৪ ফেব্রুয়ারি, বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। আর ঠিক একই দিনে ভারতের কিংবদন্তি অভিনেত্রী মধুবালার জন্মদিন। এ অভিনেত্রীর রূপ বহু পুরুষ হৃদয়েই ঝড় তুলেছিল। দিলীপ কুমারের সঙ্গে মধুবালার প্রেম, কিশোর কুমারের সঙ্গে মধুবালার বিয়ে নিয়ে বহু আলোচনাও হয়েছে। তবে অনেকেই হয়ত জানেন না, সর্বপ্রথম প্রেমনাথের প্রেমে পড়েছিলেন মধুবালা। যদিও সেই প্রেম পূর্ণতা পায়নি।
জন্মসূত্রে মধুবালার নাম মমতাজ জেহান বেগম দেহলভি। খুব অল্প বয়সেই তিনি অভিনয় জীবনে আসেন। ১৯৪২ সালে 'বসন্ত' সিনেমায় শিশু শিল্পী হিসাবে কাজ শুরু করেন। প্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে তার প্রথম সিনেমা ১৯৪৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত 'নীলকমল'। যে সিনেমায় বেগম পারা এবং রাজ কাপুরও ছিলেন।
দিলীপ কুমারকে ভালোবাসার আগে মধুবালা প্রেমনাথের প্রেমে পড়েছিলেন। অভিনেত্রীর বোন মধুর ভূষণ এক সাক্ষাৎকারে প্রেমনাথের প্রতি মধুবালার ভালোবাসার বিষয়টি সামনে আনেন। অভিনেত্রীর বোন বলেন, "সে সময় হিন্দু-মুসলিম বিয়ে সেভাবে হত না, অনেক বাধা ছিল। বর্তমানে সময় বদলেছে। আমার বাবা প্রেমনাথের সঙ্গে দিদির সম্পর্কের ব্যাপারে আপত্তি জানিয়েছিলেন।"
প্রেমনাথের সঙ্গে সম্পর্ক থেকে মধুবালা কীভাবে বের হয়ে এসেছিলেন, সে প্রশ্নে অভিনেত্রীর বোন জানান, "সেটা ওর (মধুবালা) কাছে বিশেষ কঠিন হয়নি। কারণ এটি একটি স্বল্পস্থায়ী সম্পর্ক ছিল। দুজনেই তাদের ক্যারিয়ার নিয়ে বেশি আগ্রহী ছিলেন। এটা সেই প্রেম ছিল না, যে একটা ছেলে ও মেয়ের দেখা হল আর তারা একসঙ্গে ভবিষ্যত নিয়ে স্বপ্ন দেখা শুরু করলেন।"
এর আগে আরেক সাক্ষাৎকারে বোন মধুর ভূষণ জানান, ধর্মের কারণেই ভেঙে যায় মধুবালা-প্রেমনাথের ৬ মাসের সম্পর্ক। পরবর্তী সময়ে দিলীপ কুমারের কাছাকাছি আসেন মধুবালা। ১৯৫১ সালে 'তারানা' সিনেমার শুটিং সেটে তারা একে অপরের প্রেমে পড়েন। ঐ সম্পর্ক প্রায় ৯ বছর স্থায়ী হয়েছিল।
জানা যায়, দিলীপ কুমারের সঙ্গে সম্পর্কও ভেঙেছিল মধুবালার বাবার কারণেই। দিলীপ কুমার বলেছিলেন 'বাবা-কে ছেড়ে এলে আমি বিয়ে করতে রাজি।' তবে মধুবালা উল্টো বলেছিলেন, 'বাড়িতে এসে বাবার কাছে ক্ষমা চেয়ে নাও'। তবে তারা কেউই আর এগিয়ে যাননি। মতের অমিলের কারণে ভেঙে যায় সেই ৯ বছরের প্রেম। তারপরই কিশোর কুমারের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান মধুবালা।