কানে ছবি? হল ভাড়া করো, ছবি তোলো, দেশে ফিরে এসে বলবে 'ছবি কানে গিয়েছিল': নওয়াজউদ্দিন
অফিসিয়ালি মনোনীত না হলেও কান চলচ্চিত্র উৎসবে খুব সহজেই সিনেমা প্রদর্শন করা যায় বলে মন্তব্য করেছেন বলিউড তারকা নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী। একইসাথে কিছু মানুষের ঘটা করে এ উৎসবে অংশ নেওয়ার কোনো কারণ খুঁজে পাননি হালের জনপ্রিয় এ অভিনেতা। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
চলতি বছর অনুষ্ঠিত ৭৬ তম কান চলচ্চিত্র উৎসবে ভারত থেকে ঐশ্বরিয়া রাই, সারা আলী খান, সানি লিওনি, মানুষি চিল্লার, উর্বশী রতেলা ও অনুরাগ কাশ্যপের মতো তারকারা অংশ নিয়েছিলেন। অন্যদিকে নওয়াজউদ্দিন এ বছর উৎসবটিতে অংশ না নিলেও এর আগে ৯ বার কান উৎসবে অংশগ্রহণ করেছেন।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে উৎসবটি নিয়ে অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে নওয়াজউদ্দিন বলেন, কানে অফিসিয়ালি মনোনীত না হওয়া সিনেমা প্রদর্শন কঠিন কিছু নয়। বরং শিল্পীরা নিজেদের এসব সিনেমা উৎসবে প্রদর্শনের জন্য একটি পদ্ধতি অবলম্বন করেন। এক্ষেত্রে তারা উৎসবটির রেড কার্পেটে যান, ছবি তোলেন ও সাক্ষাৎকার দেন।
আর প্রদর্শনের কৌশল সম্পর্কে নওয়াজ বলেন, "কান চলচ্চিত্র উৎসবে আপনার সিনেমা মনোনীত হোক বা না হোক, আপনি প্রদর্শনের জন্য সেটি নিয়ে যেতে পারবেন। এরপর আপনি টাকার বিনিময়ে হল ভাড়া করে, নিজেই রেড কার্পেট তৈরি করে, কাছের মানুষদের সাথে নিয়ে সিনেমা প্রদর্শন করতে পারেন, ছবি তুলতে পারেন। এরপর দেশে ফিরে এসে বলতে পারেন, 'আমার সিনেমা কান উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছে!'
কান উৎসবে একটি সিনেমা প্রশংসিত হলেই যে সেটি দর্শকদের কাছে ভালো সাড়া পাবে এমনটা মানতে নারাজ নওয়াজ। এক্ষেত্রে ২০১২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত 'মিস লাভলী' সিনেমার উদাহরণ টানেন তিনি।
সম্প্রতি ডিপ্রেশন ও বিতর্কিত 'দ্য কেরালা স্টোরি' ইস্যু নিয়ে মন্তব্যের কারণেও বেশ আলোচিত হয়েছেন নওয়াজ। আর এর কয়েকদিন পরেই বিখ্যাত কান উৎসব সম্পর্কে এমন মন্তব্য যেন তাকে নিয়ে আলোচনার আরও বড় উপলক্ষ তৈরি করলো।
মানসিক অবসাদকে 'বড়লোকদের বিলাসিতা' উল্লেখ করে নওয়াজ বলেন, "গ্রামে আমি যদি আমার বাবাকে বলতাম, যে অবসাদে ভুগছি, তাহলে কষিয়ে চড় মারত। গ্রামে সবাই খুশিই থাকেন। শহরে আসার পর উদ্বেগ, অবসাদ, বাইপোলার, এই শব্দগুলো শিখেছি। আমার মনে হয়, এই ধারণাগুলোই ভীষণ শহুরে, শহরের লোকজন তাদের আবেগকে মহিমান্বিত করে।"
অন্যদিকে 'দ্য কেরালা স্টোরি' নিয়ে নওয়াজ বলেন, "একটি সিনেমা যদি মানুষের মধ্যে বিভেদ ও সামাজিক সম্প্রীতি নষ্ট করে তবে সেটা খুবই নেতিবাচক। সিনেমায় সামাজিক সম্প্রীতি বৃদ্ধি ও একতাকে প্রচার করা উচিত। কেননা সিনেমার উদ্দেশ্য সকলকে একসাথে করা; নিজেদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি নয়।"