জেলেনস্কিকে আমন্ত্রণ না জানালে নিজের অস্কার ট্রফি ধ্বংস করবেন শন পেন!
রবিবার (২৭ মার্চ) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ৯৪তম অস্কার পুরস্কার অনুষ্ঠান। চলচ্চিত্র জগতের এ বিখ্যাত আয়োজনকে সামনে রেখে অভিনেতা শন পেন ঘোষণা দিয়েছেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে অস্কারে আমন্ত্রণ না জানালে তিনি নিজের অস্কার ট্রফিই ধ্বংস করে ফেলবেন!
'মিল্ক' ও 'মিস্টিক রিভার' চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য দুইবার অস্কার পুরস্কার নিজের ঝুলিতে পুরেছেন খ্যাতিমান এ অভিনেতা। সম্প্রতি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের দিকে বিশেষ মনোযোগ দিয়েছেন 'দ্য থিন রেড লাইন' অভিনেতা। এমনকি যুদ্ধের গুরুতর পরিস্থিতির মধ্যেই ইউক্রেন পরিদর্শন করেছেন তিনি।
অস্কারের মঞ্চে কথা বলার জন্য অনুষ্ঠানটির আয়োজক, একাডেমি অব মোশন পিকচার আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস-এর কাছে অনুরোধ করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিশ্ব জনমত গঠনের জন্য এ সুযোগটি চেয়েছিলেন তিনি।
তবে গুঞ্জন চলছে যে, জেলেনস্কিকে অস্কারে কথা বলার অনুমতি দেওয়া হবে না। চলতি বছরের অস্কার অনুষ্ঠানটি লস অ্যাঞ্জেলেসে অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ সময় ২৮ মার্চ সকাল ৬টায় এই অনুষ্ঠান প্রচার শুরু হবে।
সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে শন পেন বলেন, "আমি জানি, এই অস্কারের সাথে যারা যুক্ত আছেন, এটা তাদের আনন্দের দিন, নিজের চলচ্চিত্র নিয়ে উদযাপন করার দিন। কিন্তু যে পরিস্থিতি চলছে, তাই যদি সত্যি হয়, তাহলে আমি সবাইকে বলবো- দয়া করে এই একাডেমি অ্যাওয়ার্ড বয়কট করুন এবং অন্যায়ের প্রতিবাদ করুন! আমার নিজেরও যদি সেরকম সুযোগ আসে, আমি জনসম্মুখে আমার অস্কার পুরস্কারটা নষ্ট করে ফেলবো।"
তবে আমেরিকান এই অভিনেতার প্রত্যাশা, তাকে অতদূর হয়তো যেতে হবে না। তিনি বলেন, "আমি প্রার্থনা করি যেন এমনটা না হয়। আমি চাই, প্রয়োজনে সবাই যেন অস্কার বয়কট করে।"
পায়ে হেঁটে ইউক্রেন সীমান্ত পার হয়ে এই মুহুর্তে পোল্যান্ডে আছেন শন পেন। চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে একটি প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করছেন তিনি। ইউক্রেনে থাকাকালীন দেশটির প্রেসিডেন্টের সাথে দেখা করেছেন তিনি; এমনকি একটি সরকারি প্রেস ব্রিফিংয়েও অংশগ্রহণ করেছেন।
এর আগে মিটিংয়ের ভিডিও নিজের ইনস্টাগ্রামের পোস্ট করেছিলেন এই মার্কিন অভিনেতা। ক্যাপশনে লিখেছিলেন, "যত বেশি মানুষ ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধ সম্পর্কে জানবে, রাশিয়াকে থামানোর পথ ততটাই সহজ হয়ে যাবে!" তবে পরবর্তীতে ভিডিওটি ডিলিট করে দেন শন পেন।
শন পেনকে বলা হয় তার প্রজন্মের শ্রেষ্ঠ অভিনেতাদের একজন। দুইবার অস্কার জয়ের পাশাপাশি জিতেছেন অসংখ্য পুরস্কার।
রূপালি পর্দায় কাজের বাইরেও রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা ও মানবতাবাদী কার্যক্রমের জন্য বহুল পরিচিত এই তারকা। এর আগে কিউবা ও ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্টের সাথেও ভালো যোগাযোগ ছিল শন পেনের। ২০১০ সালে হাইতি ভূমিকম্পের সময় কাজ করে বেশ প্রশংসা পান শন পেন।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস