বিশ্বব্যাপী উন্নয়ন ও সুশাসনের একটি ভিন্নধর্মী সূচক শিগগিরই পাওয়া যেতে পারে
করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে অচিরেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে। তবে ভ্যাকসিনের লভ্যতা (দাম ও সরবরাহ) ও সংরক্ষণ ব্যবস্থার বিবেচনায় প্রথম ধাপে কেবল সীমিত সংখ্যক মানুষকেই এই টিকা দেওয়া সম্ভব হবে এবং পরবর্তীতে ধাপে ধাপে এই কর্মসূচী সম্প্রসারণ করা যাবে। সেজন্য কারা আগে টিকা পাবে তার একটি গাইডলাইন তৈরি করতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ সদ্য একটি গাইডলাইন ঘোষণা করেছে, যাতে প্রত্যাশিত ভাবেই স্বাস্থ্যকর্মী (তাদের মধ্যে আবার যেসব ডাক্তার ও নার্স সরাসরি করোনা রোগীর চিকিৎসা দিচ্ছেন আগে তারা) এবং নার্সিং হোমে থাকা বয়োবৃদ্ধরা তালিকার প্রথমে আছেন। বাংলাদেশেও এধরনের আগ্রাধিকারের গাইডলাইন তৈরির কাজ চলছে বলে শোনা যাচ্ছে।
উন্নত দেশগুলোর আগ্রাধিকারের গাইডলাইন থেকে আন্যান্য দেশের গাইডলাইনের বিচ্যুতির মাত্রা কতখানি এবং আরও ভালো হয় সেই গাইডলাইন বাস্তবে কতখানি পালিত হচ্ছে, অর্থাৎ অনিয়মের মাত্রা কি পরিমাণ- তার পরিসংখ্যান সংগ্রহ করা গেলে। তার ভিত্তিতে একটি আন্তর্জাতিক সূচক তৈরি করা যেতে পারে। এটিকে তাহলে সুশাসন ও উন্নয়নের মাত্রা এই দুটোরই একটি ভিন্নধর্মী বাড়তি সূচক হিসাবে কাজে লাগানো যাবে।
এটি মানুষের বাঁচা-মারার বিষয়; এবং সে কারণেই এক্ষেত্রে কোনো ত্রুটি-বিচ্যুতি সুশাসনের মাত্রা নির্ধারণের ক্ষেত্রে বা উন্নয়ন-অনুন্নয়নের লক্ষ্মণ বুঝতে গেলে প্রকট ভাবে ধরা পড়বে।
[লেখাটি অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিনের ফেসবুক থেকে নেওয়া]
- লেখক: অর্থনীতিবিদ এবং সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা