মোহাম্মদ বিন সালমান: যার হাত ধরে ‘আরব সুপারপাওয়ার’ হওয়ার পথে সৌদি আরব
ইসলামী রক্ষণশীলতায় ভরপুর একটি দেশ, যেখানে নারীদের পর্দায় থাকা বাধ্যতামূলক এবং তাদের বহির্গমনে "মাহরাম" (ইসলামে যার সঙ্গে বিবাহ বৈধ নয় এমন পুরুষ সঙ্গী, যেমন-বাবা, আপন ভাই) আবশ্যক সেখানে সম্প্রতি নারীদের ভোটাধিকার, গাড়ী চালানোর অনুমতি, এমনকি মাঠে নেমে ফুটবল খেলারও অনুমতি দিয়েছে দেশটি। যুক্তরাষ্ট্রে নারী রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দেওয়াসহ মসজিদে উচ্চস্বরে মাইকের ব্যবহারেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে সেখানে। বলছি পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী এবং রক্ষণশীল দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম পশ্চিম এশিয়ার আরব দেশ সৌদি আরবের কথা, যে দেশটি সম্প্রতি রক্ষণশীলতায় নমনীয়তা এবং সেই সাথে কিছু বিতর্কিত ঘটনার জন্য আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় আলোচনার শীর্ষে অবস্থান করছে।
হঠাৎ করেই কট্টরপন্থী নীতি থেকে নমনীয় মধ্যপন্থী ইসলামী নীতিতে ফিরছে দেশটি, যা পশ্চিমা বিশ্বে বেশ প্রশংসিত হয়েছিলো শুরুতে। তবে এই নমনীয়তার সাথে বেশ কিছু বিতর্কও তৈরি হয়েছে। ফলে যারা নমনীয় নীতিকে স্বাগত জানিয়েছিলেন তারাই এখন দেশটির সামগ্রিক নিয়ম নীতি ব্যাখ্যায় বেশ দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়েছেন। তবে নমনীয়তা বা বিতর্কিত ঘটনা সমূহের আগে সৌদি আরবের রক্ষণশীলতার অবয়ব বর্জনের নেপথ্য ব্যক্তিটি সম্পর্কে একটু জেনে নেয়া যাক।
বাদশাহ সালমানের তৃতীয় স্ত্রীর প্রথম সন্তান ও বর্তমান যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদ, যিনি আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় এমবিএস বা বিন সালমান হিসেবে অধিক পরিচিত, তিনিই মূলত সৌদি রক্ষণশীলতা সংস্কারের মূল হোতা। ১৯৮৫ সালে জন্ম নেয়া ৩৫ বছর প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের রাজনীতিতে পদার্পণ হয় ২০০৯ সালে তৎকালীন রিয়াদ শহরের গভর্ণর ও বর্তমান বাদশাহ পিতা সালমান বিন আব্দুল আজিজের হাত ধরে। ২০১১ সালে বাদশাহ সালমানের সৌদি আরবের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে নিযুক্তি ও ২০১২ সালের যুবরাজ হওয়ার ঘোষণা প্রিন্স মোহাম্মদের অবস্থানকে আরো শক্তিশালী করে তোলে। ততদিনের প্রিন্স মোহাম্মদ তার বাবার ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা ও ক্রাউন প্রিন্স কোর্টের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন এবং পরবর্তিতে, ২০১৪ সালে তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২০১৫ সালে বাদশাহ আবদুল্লাহের মৃত্যুর পর তৎকালীন উপপ্রধানমন্ত্রী ও যুবরাজ সালমান বাদশাহ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং এর মাধ্যমেই তার পুত্র ও বর্তমান যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের ভাগ্য ঘুরে যায়। বাবা বসেন বাদশাহের আসনে এবং পুত্র প্রিন্স মোহাম্মদ হয়ে যান বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
বাদশাহ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর সালমান বিন আব্দুল আজিজ ২০১৭ সালে তৎকালীন যুবরাজ ভ্রাতুষ্পুত্র মোহাম্মদ বিন নায়েফকে সরিয়ে নিজ পুত্র মোহাম্মদ বিন সালমানকে যুবরাজ হিসেবে ঘোষণা দেন এবং দেশটির দ্বিতীয় উপপ্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব প্রদান করেন। মূলত এরপর থেকেই যুবরাজ বিন সালমান আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় আলোচিত মুখ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। ক্ষমতাপ্রাপ্ত হয়ে বিভিন্ন সময়ে তার বিভিন্ন সংস্কারমূলক নীতি যেমন দেশে বিদেশে প্রশংসা কুড়িয়েছে, তেমনি তার স্বেচ্ছাচারী মনোভাবের জন্য বিশ্ব মিডিয়া কর্তৃক নিন্দার শিকারও হয়েছেন তিনি।
বিশ্লেষকগণ মনে করেন, যুবরাজ বিন সালমান বর্তমান সৌদি আরবের সবচেয়ে ক্ষমতাধর সংস্কারবাদী নেতা। অনেকে তাকে মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে প্রভাব বিস্তারকারী ক্ষমতাবান ব্যক্তি হিসেবেই মত দিয়ে থাকেন। মূলত তার হাত ধরেই সৌদি আরব ভবিষ্যতে তেল নির্ভর অর্থনীতি থেকে মুক্তি পাবে এবং সম্প্রসারিত রূপ লাভ করবে। বিশ্লেষকদের সাথে এখানে দ্বিমত পোষণের অবকাশ নেই। কারণ যুবরাজ বিন সালমান অনেকটা এমন সংস্কারের দিকেই এগোচ্ছেন।
সৌদি আরব মুসলিম সম্প্রদায়ের তীর্থস্থান। মুসলিম ঐতিহ্যের প্রধান দুই শহর মক্কা ও মদিনা সৌদি আরবে হওয়ায় মুসলিম বিশ্বে দেশটির আলাদা মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্য হয়েছে। সেই সাথে সৌদি ভূমিতে আছে বিপুল পরিমাণ প্রাকৃতিক তেল সম্পদ। তাই মরুভূমির দেশ হয়েও খাদ্য বা অন্যান্য চাহিদা মেটাতে অন্য দেশের উপর নির্ভরশীল সৌদি আরব বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশগুলোর একটি। আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ভাষায় সৌদি আরবের এই ইসলামী মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্য এবং অর্থনীতির প্রধান উপাদান হিসেবে তেল সম্পদকে সফট পাওয়ার বলা যেতে পারে। কারণ দেশটির রাজনীতির সম্পূর্ণ অংশ জুড়েই মুসলিম ঐতিহ্য ও তেলের গুরুত্ব প্রধান ভূমিকা পালন করছে। তবে এই তেল সম্পদকে সৌদি আরব পূর্বে হার্ড পাওয়ার হিসেবেই ব্যবহার করেছে। ১৯৭৩ সালের তেল অবরোধ হতে পরে এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ।
আবার বর্তমানে সৌদি আরবের পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা নীতি বিশ্লেষণ করলে স্পষ্টতই বোঝা যায়, দেশটি এখন আর শুধু মাত্র সফট পাওয়ারের উপর নির্ভরশীল থাকতে চাচ্ছে না। যুবরাজ বিন সালমান প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে সৌদি আরব অস্ত্র ক্রয়ে বেশ মনোযোগী হয়েছে। সম্প্রতি বছরগুলোতে সৌদি সামরিক বাহিনীতে সমাহার ঘটেছে অত্যাধুনিক সব অস্ত্রের। পশ্চিমা দেশ যুক্তরাষ্ট্র এবং ফ্রান্স এইসব অস্ত্রের প্রধান সরবরহকারী।
কিন্তু বিতর্কের বিষয় হলো, সৌদি আরব এইসব অস্ত্রের ব্যবহার করছে ইয়েমেনে। যেখানে গৃহযুদ্ধে এখন পর্যন্ত অন্তত দশ হাজার মানুষ মারা গিয়েছে। ২০১৫ সালে সৌদি আরব ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহ নিয়ন্ত্রণে সামরিক অভিযান চালায় এবং গত ছয় বছর ধরে চলমান সেই আগ্রাসনে বেসামরিক মানুষই বেশি মারা গিয়েছে এবং যাচ্ছে। এ ছাড়া দুর্ভিক্ষে প্রাণ গেছে আরও অনেক মানুষের। বাস্তুচ্যুত হয়েছে লাখো ইয়েমেনি।
প্রতিদ্বন্দ্বী শিয়া প্রধান দেশ ইরান আবার ইয়েমেনের হুতিদের সামরিক সহায়তা দিয়ে থাকে। ফলে সব মিলিয়ে ইয়েমেন এখন অনেকটা ইরান ও সৌদি আরবের প্রক্সি যুদ্ধের ময়দানে পরিণত হয়েছে। আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় ইয়েমেন যুদ্ধে সৌদি আরবের ভূমিকার সমালোচনার প্রেক্ষিতে যুবরাজ বিন সালমান বলেছেন, "সামরিক অভিযানে ভুল হতেই পারে। তবে সৌদি ও তার মিত্রদের দ্বারা যে ভুল হয়েছে তা অনিচ্ছাকৃত।" যুবরাজের এমন সাফ সাফ মন্তব্য মুসলিম বিশ্বকে বেশ আঘাত করেছে।
তবে এখানে উল্লেখযোগ্য ব্যাপার হলো, বিগত বছর গুলোতে ট্রাম্প প্রশাসন সৌদি যুবরাজকে সমর্থন দিলেও বর্তমান বাইডেন প্রশাসন ইয়েমেন ইস্যুতে সৌদি আরবকে সব রকম সামরিক সহায়তা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এমনকি বাইডেন প্রশাসন থেকে যুবরাজ বিন সালমানের সাথে নয় বরং সরাসরি বাদশাহ সালমানের সাথেই এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হয়েছে বলে এসেছে মিডিয়াতে। এক্ষেত্রে একটা বিষয় স্পষ্ট যে, মোহাম্মদ বিন নায়েফকে সরিয়ে যখন বিন সালমানকে যুবরাজ বানানো হয়, তখন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বাদশাহ সালমানের এই সিধান্তকে যতটা স্বাগত জানিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন হয়ত ব্যাপারটাকে অতটা ইতিবাচকভাবে নিচ্ছেন না। এজন্যই হয়ত যুবরাজের মুখোমুখি হতে চাইছে না বাইডেন প্রশাসন। তবে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে যুবরাজের মুখোমুখি না হওয়ার এই নীতি খুব বেশিদিন ফলপ্রদ হবে বলে মনে হয়না। কেনোনা, বাদশাহ সালমানের পর যুবরাজ বিন সালমানই হবেন সৌদি আরবের বাদশাহ।
তিনি তার অপ্রতিরোধ্য ক্ষমতার মাধ্যমে যেভাবে ভিন্ন মতকে দাবিয়ে রাখেন, তাতে করে সৌদি আরবের ভবিষ্যৎকে তাকে বাদ দিয়ে কল্পনা করার কোনো উপায়ই নেই। ২০১৮ সালে তুরস্কের ইস্তানবুলে অবস্থিত সৌদি কন্স্যুলেটে যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী নাগরিক সাংবাদিক জামাল খসেগির হত্যাকাণ্ড তারই প্রমাণ।
২০১৭ সালে বাদশাহ ও যুবরাজের আমন্ত্রণে সৌদি আরব সফরে যাওয়ার একদিনের মাথায় লেবাননের প্রধানমন্ত্রী শাদ হারিরির পদত্যাগের ঘোষণায় আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় যুবরাজ বিন সালমান বেশ সমালোচনার সম্মুখীন হন। একই বছর সৌদি যুবরাজ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের নেতৃত্বে উপসাগরীয় দেশগুলো কাতারের সাথে সম্পর্ক ছেদ করে এবং কূটনৈতিক অবরোধ আরোপ করে। তবে সেই অবরোধ খুব বেশি কিছু অর্জন করতে পারেনি। মূলত এভাবেই সৌদি যুবরাজ দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে বিভিন্ন জায়গায় নিজের ক্ষমতা প্রদর্শন করে যাচ্ছেন।
এছাড়া দেশের অভ্যন্তরে ভিন্ন মতকে কঠোর হস্তে দমিয়ে রাখা, রাজপরিবারের বেশ কিছু সিনিয়র সদস্যদের বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগে পদচ্যুত ও আটক করা, মানবাধিকার কর্মীদের ধড়-পাকড়সহ অস্বাভাবিকভাবে মৃত্যুদণ্ডের হার বৃদ্ধির অভিযোগ তো আছেই। ২০১৮ সালে আল জারিরার এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, যুবরাজ বিন সালমান দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম আট মাসে ১৩৩ জনকে শিরশ্ছেদ করে সৌদি ইতিহাসে এক নতুন রেকর্ড তৈরি করেন। পৃথিবীতে সৌদি আরবই একমাত্র দেশ, যেখানে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় শিরশ্ছেদের মাধ্যমে।
এসব কিছুর পরেও যুবরাজ বিন সালমানকে সৌদি আরবের সংস্কারবাদী উদারনৈতিক নেতার ট্যাগে ভূষিত করার একমাত্র কারণ হলো, যুবরাজের হাত ধরেই সৌদি আরব এখন আরব সুপার পাওয়ার হতে চলেছে। সামরিক ক্ষেত্রে, প্রযুক্তিতে, অর্থনীতি ও সংস্কৃতিতে সৌদি আরব এখন আধুনিকায়নের পথে ব্যাপকভাবে গতিশীল। দায়িত্ব গ্রহণের সাত মাসের মাথায়ই দেশে টেকনোলজি হাব স্থাপনে গুগল ও আমাজনের সাথে আলাপ শুরু করেছিলেন বিন সালমান। নারীদের গাড়ি চালানো, ফুটবল খেলা, ব্যাংকে চাকরি, সহকারী পাইলট হিসেবে কাজ করাসহ দেশে নাইট ক্লাব ও সিনেমা হল চালুর অনুমোদন দিয়ে দেশকে দ্রুত অধুনিকায়নের পথে এবং বিশ্ব রাজনীতিতে সৌদি আরবকে অপরিহার্য করে তোলার প্রচেষ্টায় মেতে উঠেছেন বিন সালমান। পূর্বে প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ ইরানের উপর কঠোর মনভাব দেখালেও সম্প্রতি এক্ষেত্রে সৌদি আরবকে নমনীয় হতে দেখা গেছে। ইরানকে সম্প্রতি 'পার্শ্ববর্তী বন্ধু দেশ' হিসেবে আখ্যা দিয়ে যুবরাজ বিন সালমান দুই দেশের মাঝের পারস্পারিক স্বার্থের জায়গা নিয়ে কাজ করার ব্যাপারে ইতিবাচক ইঙ্গিতও প্রকাশ করেছেন। এছাড়া প্রতিদ্বন্দ্বী ইহুদি দেশ ইসরায়েলের সাথেও নমনীয় হওয়ার ব্যাপারে ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি, যদিও এ ব্যাপারে বাদশাহ সালমানের আপত্তি রয়েছে।
মোটকথা, গতানুগতিকতা ভেঙে যুবরাজ বিন সালমানের কল্যাণে নতুন ধরণের নমনীয়তা ও কঠোরতার এক সংমিশ্রণ দেখা যাচ্ছে সৌদি আরবের পররাষ্ট্রনীতিতে। পূর্বে সৌদি আরব তেল সম্পদকে হার্ড পাওয়ার হিসেবে ব্যবহার করলেও বর্তমানে তেলের সাথে অস্ত্রের সমারহও ঘটেছে। ফলে স্পষ্টতই বলা যায়, সৌদি আরব এখন হার্ড ও সফট পাওয়ারের সংমিশ্রণে স্মার্ট পাওয়ারকে হাতিয়ার বানিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে ইরান, ইসরায়েল ও তুরস্ককে পিছনে ফেলে আরব সুপার পাওয়ার প্রতিযোগিতায় জয়লাভের সাথে সাথে বিশ্ব রাজনৈতিক মঞ্চে এক অপরিহার্য শক্তিরূপে নিজেকে প্রতিষ্ঠায় ব্যস্ত, যার মূল নেতৃত্বে আছেন সৌদি আরব তথা মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।
- লেখক: সাবেক শিক্ষার্থী, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
- ইমেইল: [email protected]