পরিবর্তিত ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতিতে পাকিস্তান আরো অস্থীতিশীলতার দিকে যাচ্ছে?
পাকিস্তান জন্মের পর থেকে আজ অবধি একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি। এর যখন দুটি অংশ ছিল – পূর্ব এবং পশ্চিম পাকিস্তান– তখনও উভয়ের মধ্যেকার বিভেদ এবং সামাজিক বৈষম্য রাষ্ট্রটিকে দ্বিখণ্ডিত করে।
পূর্ব অংশটি মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রে রূপান্তরিত হয়। এই আমাদের বাংলাদেশ। আমরা যখন পাকিস্তানের অংশ ছিলাম, ২৩ বছরের ওই সময়ে গণতান্ত্রিক চর্চা সম্পূর্ণভাবেই অনুপস্থিত ছিল। ২৩ বছরের অন্তত ১৪-১৫ বছর সরাসরি সামরিক শাসনের আওতায় ছিল দেশটি। জেনারেল আইয়ুব খান দীর্ঘ ১০ বছর একটানা শাসন করেছিলেন। তার রচিত শাষনতন্ত্রের মাধ্যমে। পূর্ব পাকিস্তানের আত্ম-অধিকারের আন্দোলনকে নস্যাৎ করার জন্য বঙ্গবন্ধুকে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় আবদ্ধ করে আইয়ুব খান। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলাকে কেন্দ্র করেই পূর্ব পাকিস্তানের যে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়- তাই আমাদের স্বাধিকারের রাস্তা দেখায়। ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করি।
পশ্চিম পাকিস্তানের জুলফিকার আলী ভুট্টোর নেতৃত্বে গঠিত পাকিস্তান পিপুলস পার্টি ১৯৬৫ সালের ভারত পাকিস্তান যুদ্ধের পর আইয়ুব খান বিরোধী আন্দোলনের নামে। ফলে আইয়ুব খানের পতন হয়। ক্ষমতায় আসে জেনারেল ইয়াহিয়া খান। এই জেনারেল ক্ষমতায় এসে বেসামরিক শাসন প্রতিষ্ঠার ও পাকিস্তানের সংবিধান রচনার জন্য সামরিক ফরমানে- সর্ব পাকিস্তান আঙ্গিকে ১৯৭০ সালের নির্বাচন অনুষ্ঠিত করে। এটাই ছিল পাকিস্তানের প্রথম গণতান্ত্রিক নির্বাচন। এতে সমগ্র পাকিস্তানে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে; আর পশ্চিম পাকিস্তানে ভুট্টোর নেতৃত্বাধীন পিপলস পার্টি লাভ করে সংখ্যাগরিষ্ঠতা।
ইয়াহিয়া খান পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতা বঙ্গবন্ধুর কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর না করে পূর্ব পাকিস্তানের ওপর সামরিক বল প্রয়োগ করে। পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় । আমাদের মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয় এবং স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হয়। ইয়াহিয়া খান ১৯৭১ সালের যুদ্ধে ভারতের কাছে পরাজয়ের পরে ক্ষমতা ত্যাগ করে। নতুন পাকিস্থানে ক্ষমতায় আসেন জুলফিকার আলী ভুট্টো। ভুট্টো ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে ১৯৭২ সনের জানুয়ারি মাসেই বিশ্ব-জনমতের চাপে বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি দেন। এরপরেই পাকিস্তান প্রথম তার সংবিধান রচনা করে ১৯৭৩ সালে।
১৯৭৩ সালের রচিত সংবিধানের আওতায় নির্বাচনে অংশ নিয়ে জুলফিকার আলী ভুট্টোর পার্টি গণন্ত্রিকভাবে পুনর্নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়। কিন্তু, চার বছরের মাথায় তার সরকারের পতন ঘটে এক সামরিক অভ্যুত্থানে। প্রথমে পাকিস্তানের বিভাজিত রাজনৈতিক দলগুলো জুলফিকার আলী ভুট্টোর সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলে। এবং তার ভেতর থেকেই তখনকার সামরিক বাহিনী প্রধান জেনারেল জিয়াউল হক ক্ষমতা দখল করেন। জুলফিকার আলী ভুট্টোকে এক হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে বেসামরিক বিচার ব্যবস্থার মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ড দেন। তখনকার পাকিস্তানের বিচারবিভাগ সরকার নিয়ন্ত্রিতই ছিল। এভাবেই চলছে পাকিস্তান।
একের পর এক সামরিক শাসন আবার সাময়িকভাবে বেসামরিক শাসন। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মতামতের বাইরে স্বাধীন বেসামরিক সরকার কখনোই বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। পাকিস্তানের রাজনৈতিক ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ পর্দার অন্তরালের সামরিক বাহিনীর হাতে কুক্ষিগত। বর্তমানেও পাকিস্তানের একই অবস্থা, সামরিক বাহিনীর সঙ্গে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে লিপ্ত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের রাজনৈতিক দল তেহরিক -ই- ইনসাফ পার্টি (পিটিআই)।
বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনের পরিচিত নাম ইমরান খান খেলার জগত ত্যাগ করে ১৯৯৬ সনে প্রথম তার রাজনৈতিক দলের জন্ম দেন। জন্মলগ্নের প্রথম দিকে ইমরান খান সবসময় সামরিক বাহিনীর সাথে সম্পর্ক রক্ষা করে চলেন।
১৯৯৯ সালে যখন জেনারেল পারভেজ মোশারফ ক্ষমতা দখল করে নির্বাচিত সরকার প্রধান নওয়াজ শরীফকে উচ্ছেদ করেন, তখন ইমরান খান সামরিক শাসক জেনারেল পারভেজ মোশারফকে সমর্থন দেন। জেনারেল মোশাররফ প্রায় এক দশক ক্ষমতায় ছিলেন। ক্ষমতাকে সুসংহিত করার লক্ষ্যে ভারতের সঙ্গে কারগিল যুদ্ধে জড়ান মোশাররফ। একপর্যায়ে তার সঙ্গে বিচার বিভাগের এক সংঘর্ষ শুরু হয়। মোশাররফ প্রধান বিচারপতিকে অপসারণ করেন। পাকিস্তানের বিচার বিভাগ একযোগে তার প্রতিবাদ করে এবং পারভেজ মোশারফ বাধ্য হন তার সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে। ওই সময়ের আন্দোলনের ভেতর থেকেই পাকিস্তানের বিচার বিভাগ তার একটি স্বাধীন অবস্থান সৃষ্টি করে। পাকিস্তানের সংবিধানের বেশ কিছু পরির্তন হয়। যার অন্যতম বিচার বিভাগের স্বাধীনতা। সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টসমূহে বিচারক নিয়োগের আইন সরাসরি সরকারের হাত থেকে বিচারবিভাগের নিয়ন্ত্রিত জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের হাতে ন্যাস্ত করে।
পারভেজ মোশাররফের শাসনকালের শেষদিকে ইমরান খান তার সমর্থন প্রত্যাহার করে রাজনৈতিক আন্দোলনে নেমে পড়েন। এভাবেই ইমরান কখনো সামরিক শাসনের পক্ষে এবং বিপক্ষে দাঁড়িয়ে জনগণের কাছে তার গ্রহণযোগ্যতা গড়ে তোলেন। ইমরান খানের দল ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয় ২০১৮ সালের সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে। অনেকগুলো দলের সমর্থন নিয়ে পাকিস্তানের ১৮তম প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বভার গ্রহণ করেন ইমরান খান।
ইমরান ক্ষমতায় আসার পরপরই সারা বিশ্বকে আঁকড়ে ধরে কোভিড- ১৯। ২০২২ সাল পর্যন্ত সুষ্ঠু নির্বাচন দ্বারা বিজয়ী ইমরান খান ক্ষমতায় ছিলেন। কিন্তু, ২০২২ এর ফেব্রুয়ারিতে যখন ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হয়, রাশিয়া যখন ইউক্রেন আক্রমণ করে – তখন ইমরান খানের সরকারের সাথে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির দ্বিমত সৃষ্টি হয় । এই প্রথম পাকিস্তানের জন্মের পর থেকে সেদেশের সরকারের সাথে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির প্রকাশ্য বিভাজন দেখা যায়। খানের সরকার জাতিসংঘের নানান প্রস্তাবনায় রাশিয়ার পক্ষ অবলম্বন করতে থাকে। কখনো কখনো মার্কিন প্রস্তাবের বিপক্ষেও ভোট দেয়, যা প্রকারান্তরে উপমহাদেশের তিনটি দেশ – অর্থাৎ বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান একই অবস্থান গ্রহণ করছিল।
এরপরেই পাকিস্তানের পার্লামেন্টে যেসব দল ইমরান খানের রাজনৈতিক জোটে যোগ দিয়েছিল তারা সমর্থন প্রত্যাহার করে। পিটিআই সরকারের ওপর এক আস্থা ভোটকে কেন্দ্র করে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট ইমরান খানকে বাধ্য করেন আস্থা ভোট হতে দিতে। পর্দার অন্তরালের সামরিক শাসকরা ইমরানকে পরাজিত করেন।
ইমরান খান ক্ষমতা থেকে অপসারিত হওয়ার পর নওয়াজ শরীফের মুসলিম লীগ ক্ষমতায় আসে। নওয়াজ বর্তমানে প্রবাসী । দুর্নীতির অভিযোগে সাজাপ্রাপ্ত হয়ে লন্ডনে অবস্থান করছেন। তার ছোট ভাই শাহবাজ বর্তমানে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। পশ্চিমা গণতান্ত্রিক দেশগুলোর অনেকেই পৃথিবীর নানান দেশগুলোর বিভিন্ন দুর্নীতির দায় অভিযুক্ত রাজনৈতিক ব্যক্তিদের আশ্রয় দিয়ে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় নওয়াজ শরীফ বর্তমানে বিলেত প্রবাসী ।
সামরিক বাহিনী তাদের আস্থাভাজন নওয়াজ শরীফের দলকে ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনে। অথচ এক সময় তারাই সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নওয়াজকে ক্ষমতাচ্যুত করেছিল । ইমরান খান পাকিস্তানের পরবর্তী নির্বাচনের দাবিতে সরব হয়ে যখন সারা দেশ চষে বেড়াচ্ছিলেন – তখনই দুর্নীতির অভিযোগে তাকে ইসলামাবাদ হাইকোর্টের চত্বর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর প্রতিক্রিয়ায়, পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর স্থাপনাগুলোর ওপর আক্রমণ করে বিক্ষোভকারীরা । যা পাকিস্তানের ইতিহাসের প্রথম ঘটনা। সেই মারাত্মক জনবিস্ফোরণের মুখে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেন এবং ইমরান খানকে কারামুক্তি দিতে সরকারকে বাধ্য করেন।
ইমরানের গ্রেফতারকে কেন্দ্র করে যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে পাকিস্তানের রাজনীতিতে তা এখনো চলমান। একদিকে তিনি নির্বাচনের দাবি তুলছেন, অন্যদিকে পাকিস্তান সরকার চেষ্টা করছে ইমরানকে নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে বিচার বিভাগকে কাজে লাগাতে। গত দুবছর যাবত পাকিস্তানের বিচার বিভাগের নানান ব্যক্তিদের ব্যক্তিগত কথোপকথন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার একটি অভিযোগ আছে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যক্তিগত কথোপকথন ছড়িয়ে দেওয়ার এই বিভৎস নজির পৃথিবীতে দুর্লভ।
বর্তমানের পাকিস্তান সরকার এ বিষয়টি নিষ্পত্তি করার জন্য বিচার বিভাগীয় কমিশন নিযুক্ত করেছে। সাম্প্রতিককালে একজন জ্যেষ্ঠতম বিচারপতির শ্বাশুড়ির সাথে কথিত ইমরান খানের দলের একজন জ্যেষ্ঠ নেতার স্ত্রীর কথোপকথন ছাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও বিষয়টি এখনো শতভাগ প্রমাণিত নয় যে কণ্ঠস্বর দুটি প্রকৃতপক্ষে মানুষের নাকি কৃত্রিম।
পাকিস্তানের বর্তমান সরকার বিচার বিভাগের ক্ষমতা হ্রাস করার লক্ষ্যে পার্লামেন্টে প্রধান বিচারপতির ক্ষমতা সংকুচিত করার আইন পাস করেছে। এর বিরুদ্ধে রিট পিটিশন পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ শুনানির জন্য নির্ধারিত করেছে। পাকিস্তান রাষ্ট্রটি বর্তমানে অর্থনৈতিকভাবে একেবারেই দেউলিয়াত্বের দ্বারপ্রান্তে। সামাজিকভাবে দেশটি চূড়ান্ত বিভাজিত। পাকিস্তানের ভূখণ্ডে নানান সামাজিক বিভাজন ছড়িয়ে আছে, তার মধ্যে আছে শিয়া,সুন্নি, কাদিয়ানী ধর্ম-সংক্রান্ত বিভাজন। এছাড়া আছে অঞ্চল- ভিত্তিক উপজাতীয় সংকট ফলে দেশটিতে যে কত প্রকার গোষ্ঠী বিভাজন তা সঠিকভাবে নিরূপণ করাই কঠিন কাজ।
মাত্র গত কয়েকদিন আগেই দেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল জামাত ইসলামীর প্রধানকে লক্ষ্য করে এক আত্মঘাতী বোমা হামলা চালানো হয়। তিনি অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান। আফগানিস্তানে যে মার্কিন রাষ্ট্রদূত তালেবানদের সঙ্গে সমঝোতা করেছিলেন, যার আলোচনার ভিত্তিতে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার হয়েছে - সেই কূটনীতিক বর্তমানে পাকিস্তানের অবস্থা তুলনা করেছেন 'ভয়াবহ' হিসেবে । তার ধারণা, পাকিস্তানে আগামীতে একটি গৃহযুদ্ধ চূড়ান্ত আকার ধারণ করবে। যা এখন আংশিক গোপন অবস্থায় আছে সেই গৃহযুদ্ধ প্রকাশ্যে সামনে আসবে। এবং তা আঞ্চলিক যুদ্ধেও রূপান্তরিত হতে পারে- সে আশঙ্কা করছেন তিনি।
দেশটিতে এখন মূল্যস্ফীতির হার প্রায় ৩৯ শতাংশ; দক্ষিণ এশিয়ার ভারত এবং বাংলাদেশের তুলনায় এক অবিশ্বাস্য অবস্থায় পৌঁছেছে তাদের মূল্যস্ফীতি। পাকিস্তান দীর্ঘকাল মার্কিনীদের আন্তর্জাতিক রাজনীতির অংশ। ইরান থেকে পাকিস্তানে গ্যাস সরবরাহের জন্য পাইপলাইন শুরু হয়েছিল ১৯৯৮ সালে। তখন ইরানের ওপর মার্কিন এর কোন নিষেধাজ্ঞা ছিল না। বর্তমানে ইরানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা সেই পাইপলাইনের কাজ আটকে দিয়েছে। ইরানে পাইপলাইনে পাকিস্তান, ভারত ও সর্বশেষ বাংলাদেশকেও সংযুক্ত করার প্রস্তাব করেছিল তেহরান। একসময় ভারত এই পাইপলাইনে অংশও নিয়েছিল।
কিন্তু ভারতের ২০০৮ সালে এক পারমাণবিক স্থাপনার স্বার্থে মার্কিনীদের সাথে এক আন্তর্জাতিক চুক্তি সম্পাদন করে এবং ভারত সেই পাইপলাইন থেকে বেরিয়ে যায়। এই পাইপলাইনের কাজ পাকিস্তান অংশে থেমে আছে মার্কিন নিষেধাজ্ঞায়। ফলে পাকিস্তান এখন ১৮ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতিপূরণের দায়ভারের সম্মুখীন। যুক্তরাষ্ট্রের ভূরাজনীতি নিজের স্বার্থে বিশ্বের নানান অংশের জনগণকে চরম সংকটের মধ্যে দিচ্ছে নিয়ে যাচ্ছে ।
লেখক: রাজনৈতিক বিশ্লেষক