দেউলিয়া শ্রীলঙ্কার মুদ্রাস্ফীতি ৫০ শতাংশ ছাড়ালো
শ্রীলঙ্কার মুদ্রাস্ফীতি জুন মাসে একটানা নবম রেকর্ডে পৌঁছালো। দেশটির সরকারি তথ্য অনুযায়ী, একদিনে মূদ্রাস্ফীতি পৌঁছেছে ৫৪.৬ শতাংশে। খবর আরএফআই এর।
দেশটির আদমশুমারি ও পরিসংখ্যান বিভাগ অনুসারে, প্রথমবারের মতো কলম্বো কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স (সিসিপিআই) ৫০ শতাংশের মাত্রা অতিক্রম করেছে।
বৈদেশিক মুদ্রার সংকটের কারণে বিপর্যস্ত অর্থনীতি উদ্ধারের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে শ্রীলঙ্কাকে ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং দুর্নীতি মোকাবেলা করার আহ্বান জানায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। এর কয়েক ঘণ্টা পরই মুদ্রাস্ফীতির এই মান রেকর্ড করা হয়।
বৃহস্পতিবার কলম্বোতে শ্রীলঙ্কার কর্তৃপক্ষের সাথে ১০ দিনের ব্যক্তিগত আলোচনা শেষ করেছে আইএমএফ।
গত বছরের অক্টোবর থেকেই বাড়ছে দেশটির মুদ্রাস্ফীতির পরিমাণ।
আরএফআই এর প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, অক্টোবরে শ্রীলঙ্কার মুদ্রাস্ফীতি ছিল ৭.৬ শতাংশ। চলতি বছরের মে মাসে এটি বেড়ে হয় ৩৯.১ শতাংশ।
এদিকে চলতি বছর মার্কিন ডলারের তুলনায় রুপির মূল্য অর্ধেকেরও বেশি কমেছে।
বেসরকারি অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সরকারি পরিসংখ্যানে দেখানো অংকের তুলনায় কনজিউমার প্রাইস আরো দ্রুত বাড়ছে।
জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির অর্থনীতিবিদ স্টিভ হ্যাঙ্কের মতে, শ্রীলঙ্কার বর্তমান মুদ্রাস্ফীতি ১২৮ শতাংশ, যেখানে জিম্বাবুয়ের ৩৬৫ শতাংশ।
তীব্র বিদ্যুতের ঘাটতিতে পড়া শ্রীলঙ্কা দেশের জনগণের যাতায়াত কমাতে স্কুল বন্ধের পাশাপাশি দুই সপ্তাহের জন্য অ-প্রয়োজনীয় রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রেখেছে।
দেশটির ২২ মিলিয়ন মানুষ কয়েক মাস ধরে খাদ্য, জ্বালানি এবং ওষুধসহ প্রয়োজনীয় জিনিসের তীব্র ঘাটতিতে রয়েছে।
৫১ বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক ঋণ খেলাপির পর এ বছরের এপ্রিলে আইএমএফের কাছে সাহায্য চায় শ্রীলঙ্কা।