অতীতে হামলা ও গুপ্তহত্যার শিকার হয়েছিলেন যেসব জাপানি নেতা
জাপানে উচ্চপদস্থ রাজনীতিবিদদের ওপর হামলা খুবই বিরল। তবে অতীতে একেবারেই যে এ ধরনের হামলা হয়নি, তাও নয়। বিভিন্ন সময়ে জাপানের অনেক নেতাই গুপ্তহত্যার শিকার হয়েছেন, কখনো বেঁচে গিয়েছেন।
১৯২১ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী তাকাশি হারাকে টোকিও স্টেশনে জনৈক তরুণ রেলকর্মচারী ছুরি মেরে হত্যা করে। এর নয় বছর পরে প্রধানমন্ত্রী ওসাচি হামাগুচি একই স্টেশনে বন্দুক হামলার মুখে পড়েন। পরের বছর ওই গুলির আঘাতজনিত কারণে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি।
১৯৩২ সালে জাপানি নৌবাহিনীর কয়েকজন সশস্ত্র অফিসার প্রধানমন্ত্রী সুয়োশি ইনুকাই'র দফতরে গিয়ে তাকে গুলি করে হত্যা করে। এ হত্যাকাণ্ডটি এখন 'মে ১৫-এর ঘটনা' বলে পরিচিতি লাভ করেছে।
শিনজো আবে'র দাদা (গ্র্যান্ডফাদার), প্রধানমন্ত্রী নবুসুকে কিশি ১৯৬০ সালে উরুতে ছুরির আঘাত গ্রহণ করেন। প্রধানমন্ত্রীর দফতরে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে, তিনি মারাত্মকভাবে আহত হন। একই বছর টোকিওর হিবিয়ায় একটি পাবলিক হলে বক্তৃতা দেওয়ার ১৭ বছর বয়সী এক ডানপন্থী কিশোর জাপানিজ সোশালিস্ট পার্টির প্রধান ইনেজিরো আসানুমাকে নৃশংসভাবে ছুরিকাঘাত করে।
১৯৭৫ সালে প্রধানমন্ত্রী তাকেও মিকি, ১৯৯২ সালে উপ প্রধানমন্ত্রী শিন কানেমারু, ও ১৯৯৪ সালে প্রধানমন্ত্রী মরিহিরো হোকোসাওয়া আততায়ীর আক্রমণ বা ছুরিকাঘাতের শিকার হন। তবে এদের সবাই ওই আক্রমণসমূহ থেকে প্রাণে বেঁচে যান।
জাপানে স্থানীয় পর্যায়ের রাজনীতিবিদদের আক্রমণের ঘটনাও রয়েছে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সম্রাট হিরোহিতো'র দায়িত্ব বিষয়ে মন্তব্য করার দুই বছর পরে, ১৯৯০ সালে নাগাসাকির মেয়র হিতোশি মতোশিমা ডানপন্থী একটি গোষ্ঠীর এক জ্যেষ্ঠ নেতা কর্তৃক গুলিবিদ্ধ হন।
১৯৯৫ সালে টোকিয়োর গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করার সময় একটি পার্সেল বোমা পৌঁছেছিল ইউকিও আওশিমা'র কাছে। এতে আওশিমার কোনো ক্ষতি না হলেও অপর একজন ব্যক্তি মারাত্মকভাবে আহত হয়েছিলেন।
অতি সম্প্রতি, ২০০৭ সালে নাগাসাকির মেয়র ইতচো ইতো ক্যাম্পেইন পরিচালনার সময় একটি অপরাধী সংগঠনের জ্যেষ্ঠ এক সদস্য তাকে গুলি করে হত্যা করে।
সূত্র: জাপান টাইমস