পেলোসি তাইওয়ান সফরে গেলে সামরিক শক্তি প্রয়োগ করতে পারে চীন
ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ান সফরে গেলে চীন সামরিক শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে তার জবাব দিতে পারে বলে সতর্ক করেছে হোয়াইট হাউস। খবর বিবিসির।
হোয়াইট হাউস মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, পেলোসি সফরে গেলে তাইওয়ানের কাছাকাছি কোথাও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ বা বড় আকারের বিমান বা নৌ কার্যক্রম চালাতে পারে তারা।
মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি বর্তমানে এশিয়া সফরে আছেন।
এদিকে তাইওয়ান এবং যুক্তরাষ্ট্রের মিডিয়া আউটলেটগুলো বলছে, তিনি তাইপেই যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। তবে মার্কিন সরকার এখনো এ খবর নিশ্চিত করেনি।
তাইওয়ান একটি স্ব-শাসিত দ্বীপ। কিন্তু চীন তাইওয়ানকে একটি বিচ্ছিন্ন প্রদেশ হিসেবে গণনা করে। পেলোসি যদি সেখানে যান তাহলে এর 'গুরুতর পরিণতি' হবে বলে সতর্ক করেছে বেইজিং।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দাবি অনুযায়ী, তাইওয়ানের সাথে তাদের 'দৃঢ়, অনানুষ্ঠানিক সম্পর্ক' রয়েছে। কিন্তু আদতে তাদের আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে চীনের সাথে, তাইওয়ানের সাথে নয়।
রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, সোমবার চীনের জাতিসংঘের দূত ঝাং জুন সতর্ক করে দিয়ে বলেন, এই সফর বেইজিং এবং ওয়াশিংটনের মধ্যকার সম্পর্ককে দুর্বল করে তুলবে।
আমেরিকান এবং মার্কিন কংগ্রেসের সদস্যদের মধ্যে অনেকেরই তাইওয়ানের পক্ষে শক্তিশালী সমর্থন রয়েছে। ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সিনিয়র সদস্য পেলোসি দীর্ঘকাল ধরে চীনা নেতৃত্বের একজন সোচ্চার সমালোচক। দেশটির মানবাধিকারজনিত কার্যকলাপের নিন্দাও করেছেন তিনি।
তিনি এর আগে গণতন্ত্রপন্থী ভিন্নমতাবলম্বীদের সাথে দেখা করেন এবং ১৯৮৯ সালের গণহত্যার শিকারদের স্মরণে তিয়ানানমেন স্কয়ার পরিদর্শন করেন।
মূলত এপ্রিলেই তাইওয়ান যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি। কিন্তু করোনায় সংক্রমিত হওয়ায় পেলোসি সফর স্থগিত করেন।
এই মাসের শুরুর দিকে তিনি বলেছিলেন, "তাইওয়ানের প্রতি সমর্থন দেখানো আমাদের জন্য জরুরি।"
এদিকে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, মার্কিন সেনাবাহিনী বিশ্বাস করে পেলোসির তাইওয়ান সফর 'ভালো সিদ্ধান্ত নয়'।