বাঘমুখো বিমানে করে আফ্রিকা থেকে চিতা আনছে ভারত
বলা হয়, সাত দশক আগে ভারত ছিল এশীয় চিতাদের অভয়ারণ্য। কিন্তু শিকার ও নিরাপদ বাসস্থানের অভাবে ক্রমশ কমতে থাকে তাদের সংখ্যা।
১৯৫২ সালে ভারতে চিতাকে সরকারিভাবে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। সে হিসেবে ৭৫ বছর পরে ফের ভারতের মাটিতে চিতার পুনঃআবির্ভাব হতে চলেছে। তবে এশীয় চিতা নয়, আফ্রিকান চিতা। আর ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজেই চলেছেন তাদের স্বাগত জানাতে।
আগামীকাল ১৭ সেপ্টেম্বর, জন্মদিনে নরেন্দ্র মোদি নিজেই যাচ্ছেন মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানে, নামিবিয়া থেকে আসা চিতাদের স্বাগত জানাতে। নামিবিয়া থেকে বিমানে উড়ে আসা আটটি চিতাকে তিনি নিজ হাতে অভয়ারণ্যে ছাড়বেন।
এদিকে নামিবিয়া থেকে চিতাদের আনতে ভারতের যে বিশেষ বিমান গেছে, তার সামনের দিকে বাঘের মুখ আঁকা হয়েছে।
নামিবিয়াতে ভারতীয় হাইকমিশন বাঘের মুখ অঙ্কিত সে বিমানের ছবি দিয়ে টুইটারে একটি পোস্ট করেছে। লিখেছে, "বাঘের দেশে 'গুডউইল অ্যাম্বাসাডরদের' পৌঁছে দিতে সাহসীদের দেশে নেমে এসেছে এক বিশেষ পাখি।"
চলতি বছরের শুরুতে নামিবিয়ার সঙ্গে এ বিষয়ে ভারতের চুক্তি হয়েছিল। আটটি চিতার দলে রয়েছে পাঁচটি পুরুষ চিতা। তার মধ্যে রয়েছে দুই সহোদরও, যারা জুটি বেঁধে শিকার করে। দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের বক্তব্য, গোটা বিশ্বে এই প্রথম এক মহাদেশ থেকে অন্য মহাদেশে বড় আকারের মাংসাশী প্রাণী স্থানান্তরিত করা হচ্ছে। 'প্রজেক্ট চিতা'র আওতায় এটি হচ্ছে।
কিন্তু আফ্রিকার পরিবেশ থেকে উড়ে এসে ভারতের মধ্যপ্রদেশের পরিবেশে এই চিতারা খাপ খাইয়ে নিতে পারবে কি না, তা নিয়ে বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞদের মধ্যেই দ্বিমত রয়েছে। চিতার শাবকরা কুকুর বা লেপার্ডের শিকার হতে পারে বলেও চিন্তা রয়েছে।
গোটা বিশ্বে এই মুহূর্তে চিতার সংখ্যা ৭ হাজারের মতো। আর যে এশীয় প্রজাতির চিতার গর্জন সাত দশক আগে আমাদের প্রতিবেশি দেশটিতে শোনা যেত, এখন শুধুমাত্র ইরানেই তাদের দেখা মেলে।
- সূত্র- আনন্দবাজার পত্রিকা, এনডিটিভি