ভারতে গুলি করা হত্যা করা হলো ‘চম্পারনের নরখাদককে’
পুরুষ বাঘটি প্রাণ কেড়ে নিয়েছিল ৯ জনের। হয়ে উঠেছিল বিহার রাজ্যের চম্পারন এলাকাবাসীর কাছে এক আতংক।
শনিবার সন্ধ্যায় (৯ অক্টোবর) বাঘটিকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। শিকার অভিযানে অংশ নেয় ২০০ পুলিশ সদস্য ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। অনেক কর্মকর্তা হাতির পিঠে চেপে বাঘটির অনুসন্ধান করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে বিবিসি জানিয়েছে, বাঘটি থাকতো বাল্মিকী ব্যাঘ্র রিজার্ভে। এর আশেপাশের এলাকায় মানুষের মধ্যে সে ত্রাসের সঞ্চার করেছিল নরখাদক হয়ে ওঠার পর।
'চম্পারনের নরখাদক' নামের বাঘটিকে হত্যার অভিযানে নেতৃত্ব দেয় বিহার পুলিশ। এসময় বাঘটি শীতলতোলা বালুয়া নামক একটি গ্রামের আখ ক্ষেতে অবস্থান করছিল। পুলিশ বাঘটিকে শনাক্ত করার পর আখ ক্ষেতটি ঘিরে ফেলে, এরপর গুলি চালিয়ে তিন বছর বয়সী প্রাণীটিকে হত্যা করে। বনবিভাগের কাছে এটির সাংকেতিক নাম ছিল টি-১০৪।
স্থানীয় বন্যপ্রাণী সংরক্ষক কর্মকর্তা কুমার গুপ্তা টাইমস অব ইন্ডিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, 'বাঘটিকে মানুষের জন্য বিপজ্জনক হিসেবে চিহ্নিত হয়েছিল'।
বৈশ্বিক ব্যাঘ্র জনসংখ্যা রক্ষার ক্ষেত্রে নিঃসন্দেহে এটি একটি বিয়োগান্তক ঘটনা। কারণ ক্রমাগত বন উজার, চোরা শিকার ও আবাসস্থল হারানোয় দিনে দিনে কমছে বাঘের সংখ্যা। ভারতেই বাঘেরা যা একটু সুরক্ষিত কর্তৃপক্ষের আন্তরিক চেষ্টায়। দেশটিতে বিশ্বের মোট ব্যাঘ্র জনসংখ্যার ৭০ শতাংশ রয়েছে।
ভারতের ব্যাঘ্র রিজার্ভগুলি সুরক্ষিত বনাঞ্চল– যেগুলিকে বাঘ ও অন্যান্য বন্যপ্রাণির জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়েছে। তবে এখানে আরেকটি বড় সমস্যাও হচ্ছে।
সুরক্ষিত বনে যে হারে বাঘের সংখ্যা বাড়ছে– তার সাথে তাল মেলাতে এসব অভয়ারন্যের পরিধি বাড়ানো দরকার। কিন্তু, তা করা সম্ভব না হওয়ায় অনেক বাঘ চলে আসছে বনের বাইরে। ঘটছে বাঘ ও মানুষে সহিংসতার ঘটনা। কারণ অনেকক্ষেত্রেই বাঘেরা স্থানীয়দের গৃহপালিত পশু শিকার করছে, অনেক সময় তাদের আক্রমণে মানুষও প্রাণ হারাচ্ছে।
- সূত্র: বিবিসি, লাইভ মিন্ট