মাস্কের অধিগ্রহণের পর টুইটারের দ্বিতীয় বৃহৎ বিনিয়োগকারী এখন সৌদি রাজপরিবার
বিশ্ব সেরা ধনী ও টেসলার সিইও খ্যাত ইলন মাস্ক সম্প্রতি ৪৪ বিলিয়ন ডলারে কিনেছেন সামাজিক মাধ্যম টুইটারের সিংহভাগ মালিকানা। কোম্পানিটি তিনি অধিগ্রহণের পর সেখানে দ্বিতীয় শীর্ষ বিনিয়োগকারী হিসেবে থাকছেন সৌদি নাগরিক তথা রাজপরিবারের সদস্যরা। খবর আল জাজিরার
টুইটারে বড় বিনিয়োগ ছিল যুবরাজ আল ওয়ালিদ বিন তালালের কিংডম হোল্ডিংস কোম্পানির। মাস্ক টুইটারের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর, মোট ১৮৯ কোটি ডলারের শেয়ারের মালিকানা ধরে রাখার কথা জানিয়েছে কিংডম হোল্ডিংস।
ফলে মাস্কের পর তারাই হচ্ছে দ্বিতীয় বৃহত্তম বিনিয়োগকারী।
গত ২৮ অক্টোবর এক বিবৃতিতে একথা জানিয়েছেন তালাল।
শুক্রবারের ওই বিবৃতিতে তিনি জানান, মাস্কের সম্মতিক্রমে এই অংশীদারিত্ব ধরে রাখা হচ্ছে। এ সংক্রান্ত চুক্তিটি কিংডম হোল্ডিংসের দীর্ঘমেয়াদি কৌশলের অন্তর্গত।
তবে কিংডম হোল্ডিংস যুবরাজ তালাল গঠন করলেও, এতে সৌদি সার্বভৌম তহবিলের বা রাষ্ট্রীয় মালিকানা রয়েছে ১৬.৯ শতাংশ। ফলে টুইটারেও সৌদি মালিকানা রয়ে যাচ্ছে।
২০২২ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ৩ কোটি ৪৮ লাখ জনসংখ্যার দেশ হয়েও বিশ্বের অষ্টম বৃহৎ টুইটার ব্যবহারকারীর দেশ হিসেবে রয়েছে সৌদি আরব। সৌদিতে মোট টুইটার 'ইউজার' রয়েছেন ১ কোটি ২০ লাখের বেশি।
এদিকে মানবাধিকার লঙ্ঘন, বাক-স্বাধীনতা হরণ, মুক্ত গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠায় বাধা– ইত্যাদি নানান অভিযোগ রয়েছে সৌদি আরবের বিরুদ্ধে। সে দেশটিই রয়ে যাচ্ছে টুইটারের দ্বিতীয় বৃহৎ বিনিয়োগকারী হিসেবে। অথচ টুইটার অধিগ্রহণের পর সামাজিক মাধ্যমটির লোগোর প্রতি ইঙ্গিত করে মাস্ক এক টুইট বার্তায় লিখেছিলেন, 'পাখিটি এখন স্বাধীন'।
টুইটারে নানান ধরনের কন্টেন্ট প্রকাশের ক্ষেত্রে খুবই সীমিত বিধিনিষেধ থাকবে এমন আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন মাস্ক। 'পাখিটি স্বাধীন' বলতে তিনি সম্ভবত এটাই বুঝিয়েছেন যে, এখন থেকে সামাজিক মাধ্যমটি আরও উদারমনা নীতিতে চলবে।