সমাবেশে গুলিবিদ্ধ ইমরান খান, নেওয়া হয়েছে হাসপাতালে
আজ বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) ইমরান খানের একটি জনসভায় তার ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এতে পায়ে গুলিবিদ্ধ হন পাকিস্তানের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। বন্দুকধারীর গুলিতে ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফ পাকিস্তানের (পিটিআই) কমপক্ষে একজন কর্মী নিহত এবং বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতা আহত হয়েছেন।
পাকিস্তানের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যম দ্য ডনের সংবাদে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
দলীয় সূত্রের বরাতে ডন জানান, পাকিস্তানের ওয়াজিরাবাদে পিটিআই- এর হাকিক- ই- আজাদি লংমার্চ কর্মসূচির সপ্তম দিনে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে।
পিটিআই এর একজন নেতা ইমরান ইসমাইল জানান, ইমরান খানের পায়ে তিন থেকে চারটি গুলি লেগেছে।
বোল টিভি নামক স্থানীয় একটি গণমাধ্যমকে তিনি জানান, হামলার সময় তিনি ইমরানের পাশেই ছিলেন। হঠাৎ গুলি চলতে শুরু করলে আহত হন ফয়সাল জাভেদ এবং আহমেদ চাঠঠা। অন্যদিকে ইমরানের পায়ে তিন থেকে চারটি গুলিবিদ্ধ হয়েছে।
এই ইসমাইল আরও জানান, হামলাকারী কনটেইনার ট্রাকের সামনে থেকে একে-৪৭ অ্যাসল্ট রাইফেল দিয়ে গুলি চালায়।
গুলিবর্ষণকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও জানা গেছে ডনের সূত্রে।
এদিকে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পরও সমর্থকদের উদ্দেশ্যে হাত নেড়ে গেছেন ইমরান খান। অবশ্য সঙ্গে সঙ্গেই তাকে হাসপাতালে নেওয়ার উদ্দেশ্যে একটি গাড়িতে তোলা হয়।
এদিকে ফয়সাল জাভেদ জানিয়েছেন, হামলায় পিটিআই এর এক কর্মী নিহত হয়েছে। আরও অনেকে আহত হয়েছে। তিনি ইমরান খানসহ সকলের সুস্থতা ও নিরাপত্তা কামনা করেন।
লংমার্চের অংশ নিতে ইমরান যখন একটি ট্রাকের ওপর দাঁড়িয়েছিলেন তখন তাকে লক্ষ করে গুলি চালানো হয়। তিনি এই লংমার্চের ডাক দিয়েছেন শাহবাহ শরীফের সরকারকে ক্ষমতা থেকে হঠাতে। হামলার পরও চলছে সমাবেশ।
পিটিআই নেতা শিরিন মাজারি বলেছেন, "হত্যার উদ্দেশ্যে ইমরানের ওপর এই হামলার পেছনে যারা কলকাঠি নেড়েছে এবং ইস্টাব্লিশমেন্টকে (পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী) এজন্য দোষী মনে করবে পুরো জাতি"।
অজ্ঞাত হামলাকারীরা ইমরানের ওপর গুলি চালানোর পর দেওয়া বক্তব্যে শিরিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহকে অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন।
এদিকে প্রধান বিরোধী দলের নেতার ওপর হামলার ঘটনার 'তীব্র নিন্দা' জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাদ শরিফ।
এই ঘটনার বিস্তারিত জানতে তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহকে আইজিপি এবং পাঞ্জাবের মুখ্য সচিবের কাছে তাৎক্ষনিক প্রতিবেদন চাইতে বলেছেন।
পাকিস্তান সরকারের আনুষ্ঠানিক টুইটার অ্যাকাউন্টে বিষয়টি উল্লেক করা হয়।
ইমরান খানের একজন সহযোগী রাউফ হাসান বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেন, ইমরানের ওপর হামলাকারী এক বন্দুকধারী নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে মারা গেছে। পুলিশ আরেক হামলাকারীকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে গেছে।
তবে প্রথম হামলাকারীর পরিচয় এখনও অজ্ঞাত বলে জানান তিনি।