রিমোট ওয়ার্কিং শেষ, অফিসে এসে কাজ করতে হবে টুইটার কর্মীদের, জানিয়ে দিলেন মাস্ক
টুইটারের দায়িত্ব নেওয়ার পর ইলন মাস্ক কিছুদিন পরপরই হাজির হচ্ছেন নতুন নতুন নোটিশ নিয়ে। একবার কর্মী ছাঁটাই করছেন তো আরেকবার কাজে ফিরতে বলছেন। এবার জানালেন টুইটার কর্মীরা আর 'রিমোট ওয়ার্কিং' করতে পারবেন না। অর্থাৎ ঘরে বসে বা বাইরের কোনো জায়গায় থেকে নয়, অফিসে এসেই কাজ করতে হবে তাদের। খবর বিবিসির।
ব্লুমবার্গ-এর বরাত দিয়ে বিবিসি বলছে, মাস্ক ইমেইলের মাধ্যমে কর্মীদের জানান, তাদের এখন থেকে সপ্তাহে অন্তত ৪০ ঘণ্টা অফিসে এসে কাজ করতে হবে।
গতকাল (১০ নভেম্বর) মেইলে মাস্ক তার কর্মীদের স্পষ্ট করে বলে দেন যে তিনি ব্যক্তিগতভাবে অনুমোদন না করলে অফিসের বাইরে থেকে কাজ করা যাবে না।
এর আগে ২০২০ সালে স্থায়ীভাবে যেকোনো জায়গা থেকে কাজ করা যাবে- এমন নিয়ম চালু করে টুইটার। মূলত করোনা মহামারির প্রভাবের কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
কিন্তু রিমোট ওয়ার্কিং নিয়ে মাস্কের অনেক আগে থেকেই বিরুদ্ধ মত ছিল। চলতি বছরের শুরুতে টুইটার কেনার কথা উঠলে তিনি টুইট করে জানান, 'কোভিডের সময় বাড়িতে বসে অফিস করার ব্যাপারটি মানুষদের বিশ্বাস করিয়েছে যে তাদের আসলে কঠোর পরিশ্রম করার দরকার নেই।'
তাই টুইটারের কর্মীদের সাপ্তাহিক ছুটির বাইরে প্রতি মাসে 'বিশ্রাম'-এর জন্য যে একদিন ছুটির নিয়ম ছিল সেটিও বাতিল করেন মাস্ক।
এছাড়াও মেইলে আগামী অর্থনৈতিক অবস্থা কোম্পানিটিকে কীভাবে প্রভাবিত করবে সে ব্যাপারে তিনি 'বার্তাটি জানানোর এর চেয়ে কোমল উপায় নেই' উল্লেখ করে 'আসন্ন কঠিন সময়'-এর জন্য প্রস্তুত হতে বলেন।
মাস্কের টুইটারের মালিকানা নেওয়ার দুই সপ্তাহ হতে চলল। ইতোমধ্যেই তিনি তার প্রায় অর্ধেক জনবল ছাঁটাই করেছেন, সাবক্রিপশন হিসেবে ভেরিফাইড ব্যবহারকারীদের মাসিক আট ডলার চার্জ করার ঘোষণা দিয়েছেন।
জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটার মূলত বিজ্ঞাপন নির্ভর কোম্পানি। কিন্তু বৈশ্বিক অর্থনীতির মন্দাবস্থা বিজ্ঞাপন থেকে আসা আয়ে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে মনে করে এবার মোট আয়ের অর্ধেকটা সাবক্রিপশন থেকে আনতে চান মাস্ক।